Published : Monday, 11 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.10.2021 1:37:31 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর ।।
কুমিল্লার
চান্দিনায় কিশোরী সালমা আক্তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের পর হত্যা
মামলার বাদী নিহতের পিতাসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায়
পিতা সোলেমান ব্যাপারীসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১০
অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে
কারাগপারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা কিশোরী সালমা আক্তারের পিতা
সোলেমান ব্যাপারী (৪৫) অসুস্থ থাকায় তাকে পুলিশী হেফাজতে কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত বাকি তিনজন হলো-
চান্দিনার কংগাই গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে আব্দুল বাতেন (৫২), একই গ্রামের
মৃত আদম আলীর ছেলে লোকমান হোসেন (৩৫), মৃত আব্দুল মোনাফ মান্নানের ছেলে
সফিউল্লাহ (৪২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর চান্দিনার
বসন্তপুর ভূইয়াপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে কিশোরী সালমা আক্তারের
ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের পিতা সোলেমান ব্যাপারী বাদী হয়ে
১০জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার রহস্য
উদঘাটন করে দেখা যায় প্রতিপক্ষ ভাতিজাদের মামলায় ফাঁসাতে কিশোরী সালাম
আক্তারকে তার পিতা সোলেমান ব্যাপারীসহ সাতজন পরিকল্পিত ভাবে খুন করে। ঘটনার
সাথে জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতারের পর মামলার মোড় ঘুরে যায়।
চান্দিনা
থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) নোমান হোসেন জানান, যেহেতু সোলেমান ব্যাপারী ওই
হত্যা মামলার বাদী সেহেতেু ওই মামলায় বাদীকে গ্রেফতার দেখানো সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে গত ৮ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামা
আরও ৩/৪জনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় নিহতের পিতা সোলেমান
ব্যাপারীসহ আরও ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুর
রহমান ও মো. খলিলকেও নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
চান্দিনা
থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে
বলেন, কিশোরী সালমা হত্যার পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে যে মামলা দায়ের করেছেন
ওই মামলার তদন্ত কর্মকতা উপ-পরিদর্শক সুজন দত্ত। মামলার রহস্য উদঘাটনের পর
এস.আই সুজন দত্ত বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাদেরকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল
তাদেরকেও নতুন মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।