করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৬৯৯ জনে।
১১ জনের মধ্যে পুরুষ দুইজন ও নারী ৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে দুইজন মারা যান। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৯৯ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৮ জন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৮২১টি ল্যাবরেটরিতে ২৩ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে শনাক্তে মোট ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সোমবার (১১ অক্টোবর) পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে শনাক্তকৃত রোগীর হার ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৭ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ তিনজন, ষাটোর্ধ্ব দুইজন, সত্তরোর্ধ্ব একজন ও ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখে গেছে, ১১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সাতজন, খুলনায় একজন, বরিশালে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।