টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজের শেষ ম্যাচে খেলতে নামেন আসগর আফগান। দলটির সাবেক এই অধিনায়কের বিদায়ী ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করল আফগানিস্তান। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬০ রান তুলে মোহাম্মদ নবিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানে থামে নামিবিয়ার ইনিংস।
আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করেন দুই আফগান ওপেনার। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ৫৩ রান। ২৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন হয়রতুল্লাহ জাজাই। আর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
পরের উইকেটের ব্যাট করতে নামেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা আসগর আফগান। তার সঙ্গে দলীয় স্কোর কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়ার পর ৩৩ বলে ৪৫ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। এছাড়া ব্যক্তিগত ৭ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
শেষদিকে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেন আসগর আফগান এবং মোহাম্মদ নবি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে কটবিহাইন্ড আসগর আফগান। ইনিংসের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩ বল খেলে করেন ৩১ রান। এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন নবি। আর ১ রানে মাঠ ছাড়েন গুলবাদিন নায়েব।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি নামিবিয়ার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩ বলে ১ রান করে নাভিন-উল-হকের বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়াম। এরপর পাওয়ার প্লেতেই আরও দুই উইকেট হারায় নবাগত দলটি। ১১ রানে নাভিন-উল-হকের বলে ভ্যান লিনগেন এবং ১৪ রানে গুলবাদিন নায়েবের বলে আউট হন জান নিকোল লফটি।
সপ্তম ওভারে বল করতে এসে জানে গ্রিনকে বোল্ড করেন রশিদ খান। আউট হওয়ার আগে গ্রিন তুলেন মাত্র ১ রান। এরপর ব্যক্গিত ১২ রানে অধিনায়ক ইরাসমাস, শূন্যরানে জেজে স্মিট এবং ৬ রানে ফেরেন ফ্রাইলিঙ্ক।
এদিকে ব্যাট হাতে কিছুক্ষণ ক্রিজে মাটি কামড়ে খেলতে থাকেন দলীয় অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইস। হামিদ হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। আর ইনিংসের শেষদিকে পিকি ইয়া ফ্রান্স করেন ৩ রান।