দেশে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে কেবল নারীর মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার (১ নভেম্বর) জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত তিন জন রোগী শনাক্ত হন বলে জানিয়েছিল রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তার ঠিক ১০ দিন পর প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যুর কথাও জানায় সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা যাওয়া রোগী ছিলেন পুরুষ। তার বয়স ছিল ৭০ ঊর্ধ্ব। দেশে করোনা মহামারিতে শুরু থেকে পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল বেশি এবং পুরুষের মৃত্যুও ছিল বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৭ হাজার ৮৭০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮৪২ জন, আর নারী ১০ হাজার ২৮ জন।
চলতি বছরের গত ১২ আগস্টে দেশে করোনা মহামারিকালে পুরুষ মৃত্যুকে প্রথম ছাড়িয়ে যায় নারী মৃত্যু। সেদিনই প্রথমবারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকায় পুরুষের চেয়ে নারী মৃত্যু বেশি ছিল। অধিদফতরের তথ্যমতে, সেদিন মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ছিল ১০৭ জন, আর নারী ১০৮ জন।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর এখন বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনও কোনও দিন নারীর মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাকেও কারণ হিসেবে বলছেন তারা। জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন, টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে। হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে।