Published : Thursday, 18 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.11.2021 2:15:33 AM
-
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৫ বছরের শিশু ফাহিমাকে হত্যা করে
বস্তাবন্দী করে ডোবায় ফেলে দেয়ার ঘটনায় শিশুটির বাবা আমির হোসেনসহ পাঁচ
জনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব এর
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মোঃ
আমির হোসেন (২৫), মোঃ রবিউলআউয়াল (১৯), মোঃ রেজাউলইসলামইমন (২২), মোসাঃ
লাইলি আক্তার (৩০) এবং মোঃ সোহেলরানা (২৭) হত্যাকান্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতার
কথা স্বীকার করেছে।
আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে র্যাব জানায়, ভিকটিমের
বাবা মোঃ আমির হোসেনের সাথে গ্রেফতারকৃত মোসাঃ লাইলি আক্তার এর পরকিয়ার
সম্পর্ক ছিল। গত ৫ নভেম্বর মোসাঃলাইলি আক্তার ও আমির হোসেনকে ভিকটিম শিশু
ফাহিমা আক্তার আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এতে লাইলি আক্তার ও আমির হোসেন
উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। লাইলি আক্তার এই বিষয়টি যেন কেউ জানতে না পারে সেজন্য
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমির হোসেনকে চাপ দিতে থাকে। লাইলি আক্তারের
প্ররোচণায় গত ৬ নভেম্বর ঘাতক আমির হোসেন এবং গ্রেফতারকৃত অন্যান্য
সহযোগীদের নিয়ে ফাহিমা আক্তারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে এবং আমির হোসেন
লাইলি আক্তারকে পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের বিষয়টি জানায়।
পরে ৬ নভেম্বরর
রাতে মোঃ রেজাউল ইসলাম ইমন এর ফার্নিচার দোকানে ভিকটিমের পিতা মোঃ আমির
হোসেন টাকার বিনিময়ে মোঃ রবিউল আউয়াল, মোঃ রেজাউল ইসলাম ইমন ও মোঃ
সোহেলরানা’কে সঙ্গে নিয়ে ভিকটিম ফাহিমা আক্তারকে হত্যার জন্য পরিকল্পনাকরে।
পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যাকরার জন্য ধারালো ছুরি ও হত্যার পর লাশ
টিলুকানোর জন্য দুইটি প্লাস্টিকের বস্তা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তারা
ফাহিমাকে হত্যাকরার উদ্দেশ্যে গত ৭ নভেম্বর বিকালে কৌশলে বেড়াতে যাওয়ার কথা
বলে ভিকটিমকে সাথে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ও চাঁপানগররাস্তার মোড়ে সোহেল
রানার সিএনজিতে করে ভিকটিমকে নিয়ে রওনা করে আসামিরা। তারা সিএনজিতে বিভিন্ন
স্থানে ঘুরাফেরা করে সন্ধ্যায় দেবিদ্বার পুরানবাজারের দক্ষিণে নদীর
তীরবর্তী নির্জন স্থানে ভিকটিম ফাহিমাকে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে।
পরে বস্তাবন্দি লাশটি দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ এলাকার একটি কালভার্টের নিচে ডোবার পানিতে ফেলে আসে।
গত
১৪ নভেম্বর লাশটি পাওয়ার পর ভিকটিমের বাবা ও হত্যাকারী মোঃ আমির হোসেন
(২৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়েরও করে।
নিজের মেয়েকে হত্যার পর নিজেই এলাকায় মেয়ে হারিয়ে
গেছে বলে মাইকিং করে এবং থানায় জিডি করে। এছাড়া মেয়েকে খুঁজে পেতে ওঝা
কবিরাজও খবর দেয়। পরে লাশ পাওয়ার পর নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে
হত্যা মামলা দায়ের করে।