কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর এক অটোরিক্সা চালকের ভাসমান অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা দেড়টায় দিকে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের একটি মাছের ফিশারি সংলগ্ন বিল থেকে তার অর্ধ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম সেন্টু মিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের খাইয়ার গ্রামের বক্তার বাড়ির মৃত আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে। তার তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর ) রাতে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মোসা. হাসিনা বেগম দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। যার নং ১০৪১।
হাসিনা বেগম জানান, সেন্টু মিয়া পাচ ছয় বছর ধরে নিজের অটোরিক্সা চালাতেন। গত শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকালে বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি। তার সাথে অটোরিক্সাটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে কেউ হত্যা করে অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং লাশ পানিতে ফেলে যায়।
নিহতের ভাতিজা আবদুল্লাহ জানায়, আমার চাচার একমাত্র সম্বল ছিলো অটোরিক্সাটি। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বুড়িরপাড় বাজার খোঁজ নিলে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামে যাওয়ার জন্য তার অটোরিক্সাটি রিজার্ভ ভাড়া নেয়। এরপর থেকে তাকে এদিকে আর দেখা যায়নি।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে ফিসারীর পাড়ে একটি বিলে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন দেবিদ্বার থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে দেবিদ্বার থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মারুফ রহমান, উপপরিদর্শক মো.আবদুল বাতেন, মো. মাহবুবুর রহমানসহ একদল পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তার গায়ে জখমের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উপুর হয়ে পড়ে থাকায় বিভিন্ন পোকা মাকড় তার চোখ মুখ খেয়ে ফেলেছে। কিভাবে মারা গেছে তা তদন্ত করলে জানা যাবে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো.আরিফুর রহমান জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে আমি পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্ত রির্পোট হাতে পেলে এটির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা যাবে।