নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত এক দিনে আরও ১৫৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৯ জন। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৯৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
আগের দিন ২৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই হিসেবে এক দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই কমেছে। কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮৮ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১৮ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫৮৬ জন। অর্থাৎ, জানা হিসেবে এই সংখ্যক মানুষ এখন করোনাভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।
গত একদিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ১২২ জনই ঢাকা বিভাগের, যা দিনের মোট শনাক্তের ৭৮ শতাংশের বেশি। দেশের ৪১ জেলায় এ সময় নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
মারা যাওয়া দুজনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশে বাকি সাত বিভাগ থেকে আর কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৩ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৩২ হাজার ২৪৭টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ২৫ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, অন্যজনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের দুজনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ বছর ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫১ লাখ ৯১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৬ কোটি ৭ লাখের বেশি রোগী।