দু’জনই জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ। আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস ছিলেন মাত্র একটি টুর্নামেন্টে, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো ক্রুসিয়ানি লাল-সবুজদের কোচ ছিলেন দুই বছর। এই দুই বিদেশি কোচের মস্তিষ্কের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছেন ক্রুসিয়ানি। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনালে লেমসের আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রুসিয়ানির সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে।
জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এক মৌসুম আবাহনীর কোচ ছিলেন ক্রুসিয়ানি। নিজের পুরোনো দলের বিপক্ষে তিনি পারলেন না ম্যাচ জিততে। বাদ পড়লেন সেমিফাইনাল থেকে। আবাহনী উঠে গেলো ফাইনালে।
আবাহনী সেমিফাইনালের হার্ডলস খুব ভালোভাবে উৎরে গেছেন তাদের কোস্টারিকান ফরোযার্ড কলিন্দ্রেসের ম্যাজিকে। রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা এই ফরোয়ার্ড নিজে গোল করেছেন, একটি করিয়েছেন জীবনকে দিয়ে।
২৫ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে কলিন্দ্রেসের নেয়া ফ্রি-কিক সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে। ৮২ মিনিটে আবার কলিন্দ্রেস ম্যাজিক। তার নিঁখুত ফ্রি-কিক থেকে বাঁ-পায়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন।
বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাবের মধ্যেকার দ্বিতীয় সেমিফ্নাালে বিজয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে আবাহনী। ১৯৯০ সালে মোহামেডানকে ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। সেটাই ছিল তাদের এই টুর্নামেন্টে একমাত্র ট্রফি। হাতছাড়া হওয়া স্বাধীনতা কাপের ট্রফি উদ্ধারের মঞ্চে উঠে এখন প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় আকাশী-নীলরা।