ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
'এ' দল নিয়ে ভাবে না বিসিবি
Published : Thursday, 16 December, 2021 at 12:00 AM
ভারত জাতীয় দল যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত, সে সময় দেশটির 'এ' দলের খেলা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। কয়েকদিন পরই যে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। জাতীয় দলের সফরের আগে সংশ্নিষ্ট দেশে 'এ' দলের খেলা রাখা নিয়ম করে ফেলেছে দেশটি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাও এই সংস্কৃতিতে চলে গেছে। এতে করে জাতীয় দলের হয়ে খেলা সহজ হয়ে যায় তরুণদের জন্য। ২০১৯ সালে এই প্র্যাকটিস বাংলাদেশের বিপক্ষে করে সফল হয়েছিল আফগানিস্তান। জাতীয় দলের সফরের আগে দেশটির 'এ' দল দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলে গেছে বাংলাদেশ 'এ' দলের বিপক্ষে। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ জিতে নেয় তারা। বাংলাদেশের ক্রিকেটেই শুধু এই প্র্যাকটিসটাই যে নেই। জাতীয় দলের বিদেশ সফরের আগে দূরের কথা, 'এ' দলের জন্য নিয়মিত সিরিজই আয়োজন করতে পারে না বিসিবি। বাংলাদেশের ক্রিকেটেও এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, চেষ্টা করবেন ২০২২ সালে 'এ' দলের দুটি সিরিজের ব্যবস্থা করতে।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে 'এ' দলের যে খেলাগুলো ছিল সেখানে জাতীয় দলকেন্দ্রিক পরিকল্পনা খুব একটা ছিল না। জাতীয় দলের বাইরের তরুণ ক্রিকেটারদের 'এ' দলে তেমন সুযোগ দেওয়া হয় না। উদীয়মান ক্রিকেটারদের ওপরও ফোকাস থাকে কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দল গড়া হয় সিরিজ জয়ের কথা চিন্তা করে। এতে করে ছন্দহীন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফেরার ছন্দে ফেরার পথ দীর্ঘ হয়। ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এক্ষেত্রে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা মাথায় রেখে 'এ' দলের খেলোয়াড় নির্বাচন করে তারা। কম সময়ে এই প্র্যাকটিস করতে শিখে গেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। 'এ' দলের খেলা নিয়ে বিসিবি কেন পিছিয়ে জানতে চাওয়া হলে আকরাম বলেন, 'কভিডের আগে আমরা কিন্তু 'এ' দলের খেলা খেলেছি। ভারত ও আয়ারল্যান্ডে দল গেছে। এখন বেশিরভাগ দেশই 'এ' দলের সিরিজ খেলছে না। কভিডের কারণে গত দুই বছর তো ঘরোয়া লিগই নিয়মিত করা সম্ভব হয়নি। এখানেই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিসিবি। তবে আমরা আগামী বছর 'এ' দলের জন্য অন্তত দুটি সিরিজের ব্যবস্থা করব। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। যে কোনো দেশের সঙ্গে হোম এবং অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে পারব আশা করি।'

তিন চার বছর আগেও ভারতের প্রাদেশিক টুর্নামেন্টে চার দিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। কর্ণাটক, বেঙ্গালুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। ভারতের এই টুর্নামেন্টগুলোতে কেন দল পাঠাতে পারছে না জানতে চাওয়া হলে আকরাম বলেন, 'কভিডের কারণে সুযোগ কমে গেছে। এই জায়গাতেও ফোকাস দেব আমরা।' ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড 'এ' দলের সঙ্গে সিরিজ পাওয়া না গেলে বিকল্প দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। রঞ্জি ট্রফি, কায়েদে আজম ট্রফি বা কাউন্টি দলও উঁচু মানের ক্রিকেট খেলে। বিসিবি এদিকটায় ফোকাস করলে জাতীয় দলেরই লাভ।