দীর্ঘ
একযুগ পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী
মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের। শুরুতে গোল করে স্বপ্নের ডালপালা বাড়লেও বিরতির পর
দুঃসংবাদ! ১০ জনের দলে পরিণত হলো এবং দারুণভাবে ম্যাচে ফিরলো প্রতিপক্ষ
রহমতগঞ্জ। এরপর আরও একবার লক্ষ্যভেদ করে মোহামেডানকে ২-১ গোলে হারিয়ে
দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পুরনো ঢাকার
ক্লাবটি।
আজ (বৃহস্পতিবার) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল
স্টেডিয়ামের প্রথম সেমিফাইনালে প্রথমার্ধে মোহামেডানের দাপট চলেছে। গোল
পেতেও তাদের সময় লাগেনি। ম্যাচ ঘড়ির পঞ্চম মিনিটে মোহামেডান এগিয়ে যায়।
আলমগীর মোল্লার ভাসানো বলে গোলকিপার রাকিবুল ইসলাম তুষার লাফিয়ে উঠেও বলের
নাগাল পাননি। পোস্টের সামনে থেকে দীর্ঘদেহী অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার অ্যারন
জন রিয়ারডন হেডে লক্ষ্যভেদ করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান।
তিন মিনিট পর
আলমগীর মোল্লার ক্রসে শাহেদ মিয়ার ব্যাকহেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে
ব্যবধান বাড়ানো হয়নি। ২২ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি
শাহেদ মিয়া। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে ক্লিয়ার করেন রাকিবুল হাসান তুষার। একটু
গুছিয়ে ওঠে রহমতগঞ্জ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। ফিলিপ আজাহর জোরালো শট
বাইরের জাল কাঁপালে সমতায় ফেরা হয়নি তাদের।
বরং ৪০ মিনিটে বড় বাঁচা
বেঁচে যায় রহমতগঞ্জ। সুলেমান দিয়াবাতের ক্রসে শাহেদ মিয়ার প্লেসিং
গোলকিপারের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি মোহামেডানের।
বিরতির
পর অবশ্য ম্যাচের চিত্র পুরো পাল্টে যায়। বিশেষ করে, ৬৭ মিনিটে মোহামেডান
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর। আজাহকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে
মেসিডোনিয়ার ডিফেন্ডার ইয়াসমিন মিনোভিস্কি মার্চিং অর্ডার পেয়ে মাঠ ছাড়েন।
১০ জন নিয়ে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আর পেরে ওঠেনি মোহামেডান। নাইজেরিয়ান সানডে চিজোবা ও ঘানার ফিলিপ আজাহ ধসিয়ে দিয়েছেন।
রহমতগঞ্জে
সমতার স্বস্তি ফেরে ৭৮ মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে আশরাফুল ইসলামের লং পাস
অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন আজাহ। পেছনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে
প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে ঘানার এই স্ট্রাইকারের জোরালো শট পোস্টের ভেতরের
কানায় লেগে জড়ায় জালে।
৮৮ মিনিটে ফজলে রাব্বীর ক্রসে সানডের ব্যাক ভলি
ক্রসবার ছুঁয়ে যায়। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রহমতগঞ্জের উৎসব। আজাহর
ক্রসে সানডে বক্সের ভেতরে পেয়ে দেখেশুনে লক্ষ্যভেদ করে দলকে ফাইনালে পৌঁছে
দেন। তবে শেষ বাঁশি বাজার পর রেফারি জালাল উদ্দিন বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে
সাদা-কালোদের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিপরীতে পুরনো ঢাকার দলটির
খেলোয়াড়রা উৎসব করেছে।