‘প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা পাবেন’
Published : Friday, 7 January, 2022 at 12:00 AM
সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে দেশের প্রায় ৫২ হাজার শিক্ষক এই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল দশম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ ছাড়া হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিতে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার ক্ষমতা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগান্তকারী ঘোষণায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু তখন মন্ত্রণালয় কৌশলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রবেশ পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণবিহীনদের ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে বেতন পান।’
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি করে রুল জারি এবং রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
ঢাকার সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে ওই রিট দায়ের করেছিলেন।