আবদুল মান্নান ||
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের তিন বছর পূর্তি হচ্ছে আজ (শুক্রবার)। সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা কাছাকাছি সময়ে দেশে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে নানামুখী ষড়যন্ত্র হবে না, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বর্তমান সরকারের তিন বছরের মধ্যে করোনার কারণে গত প্রায় দুই বছর একটি অস্বাভাবিক সময় কেটেছে। এই করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে ২৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হয়তো আরো বেশি হতে পারত, তবে তা না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত কিছু পদক্ষেপ ও নির্দেশনা। মহামারির শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশ অদক্ষতার পরিচয় দিলেও তা পরবর্তীকালে কিছুটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়। প্রথম থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একটু সচেতন হলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমত।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগাম টিকার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে। শুরুর দিকে বাংলাদেশের ক্রয়কৃত চালান সময়মতো এলেও কিছুদিন পর তাতে ছেদ পড়ে। ভারত তাদের দেশ থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশ দ্রুত অন্য দেশ থেকে টিকা আমদানি বা সংগ্রহের ব্যবস্থা করে। করোনা মোকাবেলায় বর্তমান সরকার এই অঞ্চলের যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো করেছে। যেমনটি ধরে রাখতে পেরেছে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
বিশ্বের অনেক দেশে করোনাকালে মানুষের খাদ্যাভাবে মৃত্যু হয়েছে, যা বাংলাদেশে হয়নি। সরকার ও বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান অনেকের বাড়ি বাড়ি বিনা মূল্যে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। এই সময় সম্ভবত সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা খাতে। সরকার চেষ্টা করেছে অনলাইনে তা চালু রাখতে, তবে তা প্রত্যাশিত ফল দিয়েছে এমন বলা যাবে না। কারণ দেশের সব শিক্ষার্থীর কাছে অনলাইনে পাঠ গ্রহণ করার মতো ডিভাইস নেই বা ছিল না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মারাত্মক দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। থেমে থাকেনি কোনো মেগাপ্রকল্পের কাজ। দেশে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করতে একটি মহল সর্বদা তৎপর ছিল। কিন্তু সরকারের দৃঢ় ও দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে তা বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি।
সংসদ নির্বাচনের আর দুই বছর বাকি। এখন সময় হয়েছে বর্তমান সরকারের ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত তিন বছরের অর্জন ও ব্যর্থতার খতিয়ান তৈরি করা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার ইতিহাস আছে। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তাদের আরো বেশি চিন্তা করতে হবে।
বিএনপি প্রায়ই বলে থাকে, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা বলে, তাহলে তারা ২০০৬ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে কেন অস্বীকার করেছিল? সোজা উত্তর, পরিকল্পিতভাবে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিচারপতি হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা করা এবং এক কোটি ২১ লাখ ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা তৈরি করা। সব কিছুর লক্ষ্য ছিল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপির আবার ক্ষমতায় আরোহণ করা। সেই নির্বাচন আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল বর্জন করায় দেশে তখন নির্ধারিত নির্বাচন আর হয়নি। তার বদলে আসে এক-এগারোর সরকার।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এরপর শেখ হাসিনা অনেক বাধা অতিক্রম করে পর পর তিন মেয়াদে এখন সরকারপ্রধান হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন।
অনেকে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ৩০ তারিখের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে সেরে ফেলেছে। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথমে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য নানা ধরনের টালবাহানা করেছে। পরে বঙ্গবন্ধুর কৃপাধন্য ড. কামাল হোসেনকে নেতা মেনে নির্বাচনে অন্যান্য সমমনা দলকে নিয়ে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে ১২ জন প্রার্থী নিয়ে জামায়াতও অংশ নেয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তটা মূলত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে। কারণ এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে বিশাল মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যামে প্রকাশিত হয়। বাণিজ্যের পরিমাণ এমনও ছিল যে অনেক আসনে বিএনপি একাধিক প্রার্থীর কাছে মনোনয়ন বিক্রি করেছে। তা জানতে পেরে অনেক স্থানে বিএনপি প্রার্থীরা কোনো নির্বাচনী প্রচার চালাননি।
বিগত বছরগুলোতে সরকারের অর্জন অনেক। সবচেয়ে বড় অর্জন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কভিড মহামারি মোকাবেলা করেও বাংলাদেশকে জাতিসংঘের তালিকায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটানো। এই মহামারিকালে যখন বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, তখন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল স্বীকার করেছে, ‘করোনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ।’ প্রথম দিকে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প হোঁচট খেলেও কিছুদিনের মধ্যেই আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে। সরকারের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব সম্প্রতি অর্থনীতিবিদদের এক সেমিনারে বলেছেন, বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ৪১টি শীর্ষ দেশের মধ্যে মাত্র আটটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ছিল গত অর্থবছরে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক ছিল।
অনেকের ধারণা ছিল, এই মহামারিকালে বাংলাদেশের মতো একটি মাঝারি মানের উন্নয়নশীল দেশ ধরাশায়ী হয়ে যাবে। তা কিন্তু সার্বিক অর্থে হয়নি। এটা ঠিক, এই সময়ে দেশের অনেক মানুষ তাঁদের পেশা হারিয়েছেন, অনেকে বেকার হয়েছেন, আবার দেশে দরিদ্রের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে বাংলাদেশ যে গড় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তার বেশির ভাগ কৃতিত্ব বাংলাদেশের কৃষকের।
বিগত তিন বছরে সরকারের সব কাজ যে প্রশংসাযোগ্য ছিল তা কিন্তু নয় এবং তা প্রত্যাশিতও নয়। কোনো দেশের সরকার এটা দাবি করতে পারে না যে তারা যা করেছে তা সব ভালো করেছে। নানা কারণে যেকোনো দেশের যেকোনো সরকারের সময় বেশ কিছু অজনপ্রিয় ও অপ্রত্যাশিত বা ক্ষতিকর কাজ হয়। কখনো কখনো তা হয় নীতিনির্ধারকদের ভ্রান্ত নীতির কারণে অথবা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে।
বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তির ঠিক আগের মুহূর্তে ২০২১-এর শেষ দিনে আমানতকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো পূর্বানুমতি বা অবগতি ছাড়া আবগারি শুল্ক হিসেবে একটি বড় অঙ্কের টাকা কেটে রাখা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ব্যাংক বছর শেষে যে সুদ দিয়েছে তার চেয়ে কেটে রেখেছে বেশি। দীর্ঘ মেয়াদে এটি একটি মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যাংক আমানত কমে যেতে পারে। এর ফলে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ পুঁজি সরবরাহে অপারগ হতে পারে। এমনিতেই ব্যাংকের আমানতের সুদের হার আর মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে সমানে সমান। এর ফলে বিদেশে পাচার হতে পারে দেশের অর্থ। মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে মুদ্রাস্ফীতিতে অবদান রাখতে পারে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা বেশ নাজুক। সময় এসেছে পুরো ব্যাংকিং খাতকে ঢেলে সাজানোর।
সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক। বর্তমানে সরকারে বাস্তবে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই দলের প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পিতার গড়া দলকে তিনি অনেকটা এককভাবে নিয়ে গেছেন অনেক দূর। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা কথা প্রচলিত আছে, আওয়ামী লীগের শত্রু বা প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নিজেই। কথাটা সব সময়ের জন্য সত্য। তা যদি না হতো, তাহলে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ থাকত না। এবার করোনার কারণে যেহেতু শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবনে বসেই প্রায় সব সিদ্ধান্ত নেন, তিনি জনগণ থেকে কিছুটা হলেও বিচ্ছিন্ন। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অনেক সময় নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত পরবর্তীকালে বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন তার একটি বড় উদাহরণ। আমার এক পরিচিতজন নিজের এলাকায় গিয়েছিলেন ভোট দিতে। তিনি জানালেন, প্রার্থী তালিকা দেখে মনে হলো ওটি এলাকার সবচেয়ে কুখ্যাত দুর্বৃত্তদের তালিকা, যার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থীও আছেন। দলের সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তা যদি বাস্তবে হয়, তাহলে সামনের নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী পাওয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত ফরিদপুরের ৯টি ইউনিয়নের আটটিতে নৌকা মার্কার প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। সারা দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এটি কেন শেখ হাসিনাকে মেনে নিতে হবে? কাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, মনোনয়নের সময় তৃণমূলের কোনো পরমার্শ নেওয়া হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে। মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে বলে সর্বসাধারণের ধারণা। এই ধারণা যে অমূলক নয়, তা সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়। শেখ হাসিনাকে জানতে হবে সরকারের আইন অমান্য করে কাদের কাদের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়েছে। আরো একটি সত্য স্বীকার করতেই হবে। এই তিন বছরে আওয়ামী লীগে বানের পানির মতো জামায়াত বা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢুকেই পড়েনি, কোনো কোনো এলাকায় তাদের সংখ্যা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এরা সবাই দুধের মাছি। দল ক্ষমতায় না থাকলে এদের কেউ আর ধারেকাছে থাকবে না। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক খবর দিয়েছে, দেশের একই বড় মহানগরে এই দুধের মাছি জোগাড় করার জন্য এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ নেতা বেশ তোড়জোড় করছে।
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প তৈরি হয়নি। ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর করণীয় অনেক। প্রথমে দলের খোল-নলচে পাল্টাতে হবে। দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলের কে কত বড় ক্ষতি করছে তাদের শনাক্ত করাটা জরুরি।
দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ একবার বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা অনুভূতির নাম।’ সেই অনুভূতি কি দলের সবার আছে? বর্তমানে উত্তরাধিকার সূত্রে অনেকে দলের পদ-পদবি আর মন্ত্রিত্ব বাগিয়েছেন। তাঁদের কজনের এই ‘অনুভূতি’ আছে তা জানতে হবে। অনেকেই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। দলের প্রধান সব কিছু করবেন, এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। দেশের একটি বড় সমস্যা, এক শ্রেণির সরকারি আমলা, রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের লাগামহীন দুর্নীতি। এটি বন্ধ করার উপায় খুঁজতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমলাদের দাপটের কাছে সরকার অসহায়। তা থেকে বের হয়ে আসাটা জরুরি। নির্বাচনের সময় জনগণ এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে। অনেক ক্ষেত্রে দেশে সুশাসনের ঘাটতি আছে। তা নিশ্চিত করাটা আবশ্যক। একইভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।
২০০৯ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে দেশ বর্তমান সময়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এত চোখ-ধাঁধানো উন্নতি করেছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে যদি ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করে, তাহলে সরকারপ্রধান হিসেবে হাল ধরতে হবে শেখ হাসিনাকেই। মালয়েশিয়ার ডা. মাহাথির মোহাম্মদ বিভিন্ন মেয়াদে ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। সর্বশেষ তিনি যখন ক্ষমতা ছাড়েন তখন তাঁর বয়স ৯৪। সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট লি কুয়ানে হুয়া ৩১ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁরা তাঁদের দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। কাজের মানুষের বয়স কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনা যে কাজের মানুষ তা নতুন করে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি আগামী দিনে কাদের নিয়ে পথ চলবেন তা তাঁকে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক