ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঢাকার ‘প্রতিশোধ’ সিলেটে নিলো সাকিবরা
Published : Tuesday, 8 February, 2022 at 12:00 AM
টুর্নামেন্টের শীর্ষ দুই দলের ম্যাচ দিয়ে ফের সিলেটে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। পাহাড় ও সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামের শুরুর ম্যাচটাই হলো ম্যাড়ম্যাড়ে। প্রত্যাশা করা হচ্ছিল শীর্ষ দুই দলের লড়াইটা হবে উপভোগ্য। কিন্তু সাকিবের বরিশালের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ঢাকায় কুমিল্লার কাছে ৬৩ রানে হেরেছিল বরিশাল। সিলেটে ফিরতি ম্যাচে তার মধুর প্রতিশোধ নিলো সাকিবের দল। এদিন বরিশাল আগে ব্যাট করে কুমিল্লাকে ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। জবাবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। হেরে গেছে ৩২ রানে। বরিশালের আগের দুই জয়ের মতো এই ম্যাচেও জয়ের নায়ক ছিলেন সাকিব। ম্যাচসেরাও তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৫৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে বরিশালের বোলারদের সামনে খেই হারায় কুমিল্লা। আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও বরিশালের বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের খুব একটা সুযোগ দেননি। যাদের নিয়ে প্রত্যাশা ছিল- কুমিল্লার ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী (৬), ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের (৩) কেউই দাঁড়াতে পারেননি। বিদেশিদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যাটাররাও রান করতে না পারায় হার দেখতে হয় কুমিল্লাকে।
শুরুতে কুমিল্লার ওপেনার ইমরুল (১) সাকিবের সহজ একটি বল খেলতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। লিটন অবশ্য ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু সাকিবের নিচু হয়ে আসা একটি বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার নুরুলের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। তাতেই কাটা পড়ে লিটনের ১৭ বলের ১৯ রানের ইনিংসটি। এরপর মুমিনুল ছাড়া অবদান রাখতে পারেননি কেউ। মুমিনুল ৩০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন। করিম জানাতের ১৩ বলে ১৭ এবং তানভীরের ১৪ বলে ২১ রান কেবল ব্যবধান কমাতে পেরেছে। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রানে থামে কুমিল্লা।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ২৯ রান খরচ করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। সাকিব, ব্রাভো দুটি করে উইকেট নেন। আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান ২৭ রান খরচ করে উইকেটশূন্য ছিলেন।  

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করেছে বরিশাল। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ওপেনিংয়ে নামেন ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার। গেইল ১০ রানে বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু প্রত্যাশা মেটাতে পারলেন না। ১ রান করেই শান্ত সাজঘরে ফিরেছেন। একই ওভারে আবার কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনাও ছড়ায় মাঠে। বরিশালের ইনিংসে সুমন খানের ৫ম ওভারের প্রথম বলটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে। কুমিল্লার কিপার সেটি মিস করলে বল চলে যায় সিমানার বাইরে। তাতে করে বরিশালের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে পারতো। কিন্তু আম্পায়ার বলটিকে ডেড ঘোষণা করেছিলেন। অবশ্য বল ডেলিভারি করার বেশ আগেই বলটি ডেড ডিক্লেয়ার করেন ফিল্ড আম্পায়ার মোজাহিদুজ্জামান। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে কয়েক দফা আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জড়ান সাকিব। খুব বেশিক্ষণ এর রেশ ছিল না।
তার পর ওপেনিংয়ে থিতু হওয়া মুনির শাহরিয়ার ৫ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন। সাকিব অবশ্য ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ঝড়ো ৫০ রানের ইনিংস খেলে সচল রাখেন স্কোরবোর্ড। বরিশালের স্কোর আরও বড় হতে পারতো! কিন্তু তৌহিদ হৃদয় ৩৭ বলে ৩১ রানের স্লো ইনিংস খেললে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানই করতে পারে বরিশাল।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মোস্তাফিজ, মঈন আলী ও করিম জানাত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।