বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন বহুমাতৃক দার্শনিক’।
সোমবার কুমিল্লার চান্দিনায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বজ্রকন্ঠের উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা কৃষকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতনামা চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ গোপাল দত্ত আরও বলেন, ‘১৯৭০ সাল। আমরা তখন মেডিকেল কলেজে পড়ি। বঙ্গবন্ধু বললেন তিনি নির্বাচনে যাবেন। বামপন্থি রাজনীতিবিদরা বললেন, ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। আমেরিকার এক সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, সামরিক লেবাসে কেন নির্বাচনে যাচ্ছেন। আমি জানি এদেশের জনগণকে। আমি জানি জনগণ কোথায় ভোট দিবেন! তাই আমি নির্বাচনে যাচ্ছি এবং আমি যাচ্ছি আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখিয়ে’।
৭১’এর ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষন কি হবে এ নিয়ে অনেক উপদেষ্টা ও বিজ্ঞজনেরা নোট লিখে দেন, কিন্তু কারও লেখাই পছন্দ হয়নি ওই রাজনৈতিক দার্শনিকের। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেইদিন বলেছেন বাঙ্গালী জাতির মুক্তির লক্ষ্যে তোমার মনে যা চায়, তা-ই বলবা। বঙ্গবন্ধু সেইদিন তা-ই বলেছিলেন। ঐতিহাসিক ওই ভাষনের ৪৬ বছর পর ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি শাহ্ সেলিম প্রধান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আলফাজ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আহবায়ক পার্থ সারথী দত্ত, কুমিল্লা জেলা কৃষকলীগ নেতা সেলিম ভূইয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া আক্তার, উপজেলা যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগ সাংগঠনিক ফয়সাল বারী মকুল, উপজেলা যুবলীগ সদস্য মনির খন্দকার, ব্যবসায়ী শামীম হোসেন, কৃষকলীগ নেতা মান্নান প্রমুখ।