ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাসচাপায় সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় চালক আটক
Published : Monday, 14 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 14.03.2022 1:02:41 AM
বাসচাপায় সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় চালক আটকনিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকায় বাসচাপায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট দিদার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসচালক মোঃ বাবুলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রবিবার ১৩ মার্চ দুপুরে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার দক্ষিণ মিল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ মিল্লাবাড়ির মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র। গত ১০ মার্চ সকালে নাজিরা বাজার এলাকায় তিশা পরিবহনের একটি বাসের চাপায় প্রাণ হারান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দিদার হোসেন। বাবুল ওই বাসের চালক ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার উপপরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার বাস চালক মোঃ বাবুল স্বাক্ষরতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তি যিনি কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহন করেনি। সে বিগত ১২ বছর যাবৎ কুমিল্লা ও ঢাকায় ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত আছে। ড্রাইভিং পেশা শুরুর পূর্বে সে ৬ মাস বাসের হেলপার ছিল এবং পরবর্তীতে কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ছাড়াই সে বাসের চালক হিসেবে কাজ শুরু করে। তার ১২ বছরের ড্রাইভিং পেশায় প্রথম ৭ বছর তার কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না এবং পরবর্তীতে সে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লেনে মহাসড়কের উপর তিসা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল চালক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মোঃ দিদার হোসেন(৩৮)গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যাণ। দুর্ঘটনার পর ঘাতক চালক বাসটি রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ময়নামতি হাইওয়ে থানার এএসআই মোঃ আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে জেলার বুড়িচং থানায় সড়ক ও পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র‌্যাব কর্মকর্তা মেজর সাকিব হোসেন বলেন, বুড়িচং থানায় মামলাটি দায়েরের পর র‌্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার বাবুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত সড়ক দুর্ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন।