নারায়ণগঞ্জে লঞ্চডুবিতে নিখোঁজের মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। সোমবার (২১ মার্চ) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও সেখানে অবস্থান করছেন স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল্লা আল আরেফিন জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা ডেমরার আব্দুল্লাহ আল জাবের (৩২), মুন্সিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন হাতেম (৫৫), আরোহী (৩) ও জোবায়ের হোসেন।
দুর্ঘটনায় পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন- সোনারগাঁও হরিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক১ উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূঁইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত হোসেন (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইস্পাহানিচর এলাকার স্মৃতি রানী বর্মণ (২০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আজিজের মেয়ে সালমা (৩৩), একই এলাকার ইউনুস খলিফার মেয়ে ফাতেমা (৭)। একজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল জাবেরের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সন্তানের মরদেহের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। বেশ কয়েকবার পুরো নদী চক্কর দিয়েছি। কিন্তু পেলাম না।
নিখোঁজ মোসলেম উদ্দিন হাতেমের ছেলে সাগর হোসেন বলেন, বাবাকে জীবিত পাবো কী-না জনি না। মরদেহ নিয়ে যেনো কবর দিতে পারি। সে কবরে যেন দাঁড়িয়ে দোয়া করতে পারি।
আরোহীর খালু রিপন বর্মণ বলেন, মরদেহ নিয়ে তার মনকে সান্ত্বনা দিতে চাই। মনকে তো মানাতে পারছি না।
এর আগে রোববার দুপুরে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী ‘আফসার উদ্দিন’ নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।