Published : Tuesday, 19 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.04.2022 1:39:39 PM
হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ||
হযরত
কা’ব ইবনে উজরা (রা:) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলে আকরাম (স.) বললেন, তোমরা
মিম্বরের নিকটে এসো। আমরা মিম্বরের নিকট চলে আসলাম, অতপর তিনি যখন মিম্বরের
প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলেন তখন বললেন আমিন। যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন
বললেন আমিন। যখন মিম্বরের তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন আমিন। প্রিয় নবী
(স.) যখন খুৎবা বা বয়ান শেষ করে মিম্বর হতে নামলেন তখন আমরা আরজ করলাম, ইয়া
রাসুলাল্লাহ আমরা আপনাকে মিম্বরে উঠবার সময় এমন কিছু কথা বলতে শুনেছি যা
পূর্বে কখনো শুনিনি। উত্তরে তিনি বললেন, এইমাত্র জিবরাঈল (আ:) আমার কাছে
এসেছিলেন। আমি যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখি তখন তিনি বললেন- ধ্বংস হউক ঐ
ব্যক্তি যে রমজানুল মোবারক মাস পাইল তার গুনাহ মাফ হলো না। আমি বললাম আমিন।
যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখি তখন তিনি বললেন- ধ্বংস হউক ঐ ব্যক্তি যার
সামনে আপনার নাম উচ্চারণ করা হয় কিন্তু সে আপনার প্রতি দুরুদ পাঠ করে না।
আমি বললাম আমিন। আমি যখন তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখি তখন তিনি বললেন ধ্বংস হউক ঐ
ব্যক্তি যে পিতা মাতা উভয়কে বা তাদের কোন একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পাইল কিন্তু
তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালো না অর্থাৎ ঐ সন্তান পিতা মাতার সেবা করে
জান্নাত অর্জন করতে পারলনা। আমাদের প্রিয় নবী (স.) হলেন সকল নবী রাসুলদের
সরদার। জিবরাঈল (আ.) হলেন সকল ফেরেস্তাদের সরদার। আল্লাহপাকের নৈকট্য
প্রাপ্ত। তাদের যে কোন একজনের দোয়া কারো কামিয়াবির জন্য যথেষ্ট আবার কারো
হালাকি বা ধ্বংসের জন্য তাদের যে কোন একজনের বদদোয়া যথেষ্ট। তথাপি উভয় মিলে
যে দোয়া করেছেন তাহা নিঃসন্দে আল্লাহ তা’লার দরবারে কবুল। তাই উপরে
উল্লেখিত তিনটি বিষয়ের প্রতি আমাদেরকে গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে।