মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনীর্মাণে গরিব মেহনতি মানুষের মুক্তি তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে বাম-প্রগতিশীল রাজনীতির বিকল্পনেই। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানুষের মুক্তি নেই; সমাজতন্ত্র ফিরে আসবে আবারো নতুন রূপে নতুন শক্তিতে। রোববার সকাল ১১টায় দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ- মোজাফফর)’র ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারী টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিরোধের জের ধরে বাম এবং ডান ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। বামপন্থী অংশ মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্ব শাসনের দাবী তোলেন।
ওই বছরের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং আওয়ামী লীগের বামপন্থী অংশের উদ্যোগে ঢাকা রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গনতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা হয়। ন্যাপ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের প্রতিটি আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছে।
ন্যাপ উপজেলা সভাপতি অনিল চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মমিনুর রহমান বুলবুল এর সঞ্চালনায় ন্যাপের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি কমরেড এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, ন্যাপ কুমিল্লা (উঃ) জেলা সহ-সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন মিছির মাষ্টার, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, ন্যাপ পৌর কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান মনুমিয়া, ন্যাপ নেতা শাখাওয়াত হোসেন মাষ্টার, যুব ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলা নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন কুমিল্লা জেলার সাবেক সহ-সভাপতি শফিউল আলম রাজীব, যুব সমিতি উপজেলা সভাপতি হেলাল হোসেন ভূঁইয়া মাষ্টার, ন্যাপ নেতা পরিমল সরকার, মোঃ জসীম উদ্দিন, মোঃ সফিকুল ইসলাম প্রমূখ।