দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন হলটি উদ্বোধন করেন।
এদিন বেলা ১১টায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে, কেক ও ফিতা কেটে হলটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, শেখ হাসিনা হলের উদ্বোধনের দিনটি আমাদের জন্য আনন্দের। আমি ছয় মাস আগে এখানে এসেছি এবং ছয় মাসে এই হলের কাজ শেষ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা ঠিকাদারের সঙ্গে বারবার মিটিং করেছি এবং তাদের কাছ থেকে দলিলে স্বাক্ষর নিয়েছি যাতে ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হয়। এই হলটি অন্য সব হলের কাছে রোল মডেল হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমি প্রভোস্টকে বলেছি এই হলের সার্বক্ষণিক তদারকি করতে।
হলটির প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, যারা এই হলটির নামকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিল রেখেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ হয় হল জীবন থেকে। আমি প্রাধ্যক্ষকে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে হলের কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর লিখিত এবং সম্পাদিত বইসমূহ উপহারের ব্যবস্থা করার জন্য।
প্রভোস্ট সাহেদুর রহমান বলেন, এই হলটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মডেল হলে রূপান্তরিত হবে। আমি উপাচার্যের নির্দেশনার আলোকে কাজ করব।
এদিকে রোববার বিকাল থেকে হলে উঠতে পারবে বলে জানিয়েছেন হলটির প্রভোস্ট। তিনি বলেন, আমরা ৩৭০ জনকে সিটের আওতায় এনেছি। কেউ চাইলে আজকেই হলে উঠতে পারবে। আমি প্রথমে নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করেছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চে ২৫৬ আসন বিশিষ্ট হলটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ১৮ মাসে হলটির কাজ করার কথা থাকলেও ৫ বছর পর হলটির কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। হলটি হস্তান্তরের দাবিতে একাধিকবার আন্দোলনও করে শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শেষ হচ্ছে দীর্ঘদিনের অপেক্ষা।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট হল হলো পাঁচটি। তিনটি ছেলেদের ও দু্টি মেয়েদের।