ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শেষ হলো ইসির সংলাপ
Published : Monday, 1 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 01.08.2022 1:36:43 AM
শেষ হলো ইসির সংলাপদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসিতে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত কোনও দলই এই সংলাপে অংশ নেয়নি। অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে নিবন্ধিত সব দল অংশ নিয়েছে এই সংলাপে। বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপে অংশ না নেওয়ায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ, পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এ সংশয় খোদ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এসেছে। তবে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ৩২০টির মতো প্রস্তাব দিয়েছে।
সংলাপ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, রাজনৈতিক প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার, ইভিএম, নির্বাচনকালে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো ইসির অধীনে রাখা, একাধিক দিনে সংসদ নির্বাচন, নির্বাহী ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন, ভোটের অনুপাতে সংসদীয় আসন বণ্টন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, প্রবাসীদের ভোটদানের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইভিএম-এর বিপক্ষে মত দিয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়া ২৬ দলের মধ্যে ১৯টিই নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদের কেউ কেউ ইভিএমের বিপক্ষে, কেউ কেউ আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবহার, কেউ শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ইভিএম চায় না বলে জোর দাবি করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছে। তবে, তাদের শরিকদের মধ্যে কেউ কেউ ইভিএমের বিরোধিতাও করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইভিএমকে সংকট বলে আখ্যায়িত করেছেন। রবিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছু মত পেয়েছি। আবার অধিকাংশ দল ইভিএম বিশ্বাস করছে না। এর ভেতরে কী যেন একটা আছে। অনেককে আমরা আস্থায় আনতে পারছি না।
সংলাপে ইসিতে নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ ৯টি দল অংশ নেয়নি। আর ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি) ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নতুন করে সময় চেয়েছে। এই দুটি দলের সঙ্গে পরে সংলাপে বসবে ইসি। বর্তমান ইসি তার সংলাপে সব দলকে না পেলেও কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিদায়ী কমিশন তার সংলাপে দেশের নিবন্ধিত সব দলকেই সংলাপে পেয়েছিল।
সংলাপে ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। তবে এরমধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন শর্তসাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলছে, ইভিএম ব্যবহার করতে হলে পেপার অডিট ট্রেইল সংযুক্ত করতে হবে।

যে ৯টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ-বিএমল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।