তানভীর দিপু ||
মাদক নির্মূলে উদ্ধার অভিযান ও মাদক চোরাচালানকারী-ব্যবসায়িদের ধড়পাকড়ের সাথে মাদক সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে আবারো জোরালো হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কুমিল্লার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ। এছাড়া মাদক নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সমন্বিত টাস্কফোর্সের অভিযান মাদক নির্মূলে সফল ভূমিকা রাখছেন বলেও জানান তারা। একই সাথে জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রত্যক্ষ  ভূমিকা মাদক নির্মূলে সিংহভাগ অবদান রাখবে বলেও জানানো হয়। রবিবার সকালে কুমিল্লা-১০ বিজিবির মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিগণ এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা মূল্যমানের মাদক দ্রব্য ধ্বংস করে কুমিল্লা বিজিবি। কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়নের অধীনে বিভিন্ন বিওপির অধীনে সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়ন বিজিবি হেডকোয়ার্টারে মাদক ধ্বংসকরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মুহাম্মদ ইসহাক- পিএসসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত, বিজিবি সদর দপ্তর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃ মারুফুল আবেদীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল রানা, সিভিল সার্জন  মীর মোবারক হোসাইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত  বছরে উদ্ধারকৃত  ৯ কোটি ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৪৩৭ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে ফেন্সিডিল ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮ শ টাকার, গাঁজা ১ কোটি ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৭ টাকার, বিদেশী মদ ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, বিয়ার ক্যান ৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার, ইস্কাপ সিরাপ ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬ শ টাকার, ইয়াবা ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৬ শ টাকার, টার্গেট/ সিনেগ্রা ট্যাবলেট ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকার এবং অন্যান্য অবৈধ ট্যাবলেট ৬৬ লাখ ৮২ হাজার ১২০ টাকার।