স্বাগতিক
নিউজিল্যান্ডের কাছে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তারা হেরে গেছে ইনিংস ও ১৭৬
রানের ব্যবধানে। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তাদের
পরাজয়ের ব্যবধানটা ছিল ১০১ রানের।
সিরিজের দুই ম্যাচেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান, হয়েছে
হোয়াইটওয়াশ। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ক্রিকেটার থেকে শুরু কোচ ও
টিম ম্যানেজম্যান্টকেও ধুয়ে দিচ্ছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার ও সমালোচকরা।
বিশেষ করে বড় ঝড়টা বয়ে যাচ্ছে দলের কোচ মিসবাহ উল হকের ওপর দিয়ে।
পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন মিসবাহর
যোগ্যতা নিয়ে। তার মতে, পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের আসলে কোনো স্কুল
দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতাও নেই। মিসবাহর খেলোয়াড়ি অভিজ্ঞতার ওপর শুরুতে ভরসা
করলেও, এখন হতাশাই শুধু পেয়েছেন আকিব।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া
সাক্ষাৎকারে আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘কোনো কোচিং অভিজ্ঞতা ছাড়াই মিসবাহ উল হক ও
ওয়াকার ইউনিসকে (পেস বোলিং কোচ) পাকিস্তান জাতীয় দলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
যারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের আগে জবাবদিহি করা উচিত।’
মিসবাহর কোচিংয়ের সমালোচনা করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘মিসবাহর কোচিং দেখার
পর আমার ধারণা, মনে হয় না কোনো স্কুল দলও তাকে কোচের চাকরি দেবে। দলের
দায়িত্বে পেশাদার কোচ থাকা উচিত। শুধুমাত্র এমনটা হলেই দলের উন্নতি ঘটবে।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর
মিকি আর্থুরের বদলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মিসবাহকে। নতুন দায়িত্বের শুরু
থেকেই শোয়েব আখতারসহ অনেক সাবেক ক্রিকেটারের রোষানলে পড়েছেন মিসবাহ। তবে
বেশিরভাগই মূল দায়টা দিয়ে থাকেন ক্রিকেট বোর্ডকে।
একই সুরে আকিব জাভেদ বলেছেন, ‘ওয়াসিম খান (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের
প্রধান নির্বাহী) এবং তার দল মাঠের বাস্তবতা বিচার করেনি। যে কারণে
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাংগঠনিক সকল বিষয় ঘিরে নানান জটিলতা দেখা যায়।
পিসিবি যদি সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে হকির মতো ক্রিকেটও একই ভাগ্যবরণ
করবে।’