ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনায় একদিনে ২ মৃত্যু কুমিল্লায়, আক্রান্ত ২২  
Published : Thursday, 7 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.01.2021 1:01:48 AM
করোনায় একদিনে ২ মৃত্যু কুমিল্লায়, আক্রান্ত ২২  ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লায় মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। জেলায় নতুন করে আরো ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জেলায় করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা হলো ৯,০৯৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৭৮ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বুধবার (৬ জানুয়ারি) কুমিল্লায় ২৩৭টি নমুনার রিপোর্ট আসে। আগত রিপোর্টে ২২ জনের পজিটিভ ও ২১৫টি নেগেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন ১১ জন, চান্দিনা ৩ জন, বুড়িচং ২ জন, বরুড়া ২ জন, চৌদ্দগ্রাম ১ জন, মনোহরগঞ্জ ১ জন, দেবিদ্বার ১ জন ও মেঘনা উপজেলায় ১ জন।
জেলায় একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ও অন্যজন মহিলা। মৃতদের মধ্যে ২ জনই সিটি করপোরেশন এলাকার। তাদের মধ্যে ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা ও ৫৯ বছর বয়সী বৃদ্ধ রয়েছেন। জেলায় একদিনে ৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগী সুস্থ হয়েছেন।    
সূূত্রে জানা যায়, বুধবার (৬ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭০টি। এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৯,০৪৬টি। তার মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৪৮,৬৭১টি। এখনো রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন ৩৭৫টি। প্রাপ্ত রিপোর্টে পজিটিভ ৯,০৯৯ জন এবং নেগেটিভ ৩৯,৫৭২টি। তাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮,৩৭৮ জন। এখনো হোম আইসলোশান ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৫৭ জন।   
কুমিল্লা জেলা করোনা প্রতিরোধ সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান, জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী পূর্ব থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হৃদরোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, যারা এসব জটিল রোগে ভূগছেন তাদেরকে চলাফেরায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। করোনামুক্ত থাকার জন্য যা করনীয় তার সবটাই মেনে চলতে হবে। আর তারা আক্রান্ত না হলে মৃত্যুর হারও অনেক কমে আসবে।
ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের আগে ফ্রন্টলাইন ফাইটার বলা হতো। আমি মনে করে, এখন প্রতিটি নাগরিকই ফ্রন্টলাইন ফাইটার। নিজের, পরিবারের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর তা মেনে চলতে পারলেই করোনা সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি মৃত্যুর হারও দ্রুত কমে আসবে।