ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বিয়ের ৫দিন পর হোটেল থেকে নববধূর লাশ উদ্ধার
Published : Thursday, 7 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.01.2021 1:01:51 AM
বিয়ের ৫দিন পর হোটেল থেকে নববধূর লাশ উদ্ধারইসমাইল নয়ন ॥    বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বড়ধুশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মেহনাজ জেরিন নিপার বিয়ে হয় একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে। ৩ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় যান নিপা। চাকুরির কারণে স্বামী রুবেলের বাসস্থান অফিসের মেস হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে। আর সেই হোটেল থেকে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বের করা হয় মেহনাজ জেরিন নিপা (২৪) এর মরদেহ। নিপার স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী ররুবেলই তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করা ছিল। গত ৩ জানুয়ারি ওই রুমটি ভাড়া নেয় নীপার স্বামী রুবেল। এ ঘটনায় স্বামী পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
হোটেল সূত্র বলছে, গত ৩ জানুয়ারি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২ জন হোটেলের ওই রুমটি ভাড়া নেয়। এরপর স্বামী অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যায়। এসময় ওই তরুণী হোটেলে একাই ছিল। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, নীপাকে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল স্বামী পুলিশ কন্সটেবল রুবেল।
নববধূ মেহনাজ জেরিন নিপা (২৪) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া গ্রামের হুমায়ুন মিয়ার মেয়ে। সে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতোকোত্তরের শিার্থী ছিলেন।
এ বছরের ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বড়ধুশিয়া গ্রাম থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন। কিন্তু বিয়ের ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফিরলেন লাশ হয়ে।
পুলিশ বলছে, স্বামী যেহেতু মেসে থাকেন, তাই স্ত্রী নীপাকে নিয়ে উঠেন রাজধানীর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু স্ত্রীকে একা রেখে হোটেল থেকে কেন চলে যান রুবেল সে কারণই জানা যায়নি। এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় কনস্টেবল রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আহসানুল কবির।
মামলার বাদী আহসানুল কবির বলেন, জাহিদুল আমার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। না হলে বিয়ের ৫ দিন পার না হতেই কেন সে আত্মহত্যা করলো?