আ ব ম ফারুক ||
বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে করোনার কয়েকটি টিকা এখন মানব শরীরে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
আতঙ্কে আর উৎকণ্ঠায় আকুল দেদার মানুষ প্রতিদিন টিকাকেন্দ্রগুলোতে ভিড়
জমাচ্ছেন এবং টিকা নিচ্ছেন। মূলত তিনটি টিকা বিশ্বময় আলোচনায় থাকলেও
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিখ্যাত ওষুধ কম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের
টিকাও এসে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এটি এফডিএয়ের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
পেয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না,
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইত্যাদি টিকার সঙ্গে এর একটি ইতিবাচক পার্থক্য
রয়েছে যে এটি একবার নিলেই চলে, কয়েক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে দুটি ডোজের প্রয়োজন
হয় না। বাংলাদেশেও অনেক মানুষ টিকার প্রতীায় রয়েছেন। আশা করা যায় এই
জানুয়ারি মাসেই সরকারের আগাম কিনে নেওয়া টিকাগুলো আসতে শুরু করবে। কাদের
অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে দেশব্যাপী তার তালিকা তৈরি করছে সরকার।
এ
পর্যায়ে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, টিকা আসবে, টিকা নেওয়ার মানুষও আসবে।
কিন্তু আয়োজনটুকু সম্পূর্ণ হয়েছে তো? অর্থাৎ টিকা কোথায় কারা দেবে, শুধু
শহরেই দেওয়া হবে নাকি গ্রামেও? কত টাকা লাগবে? টিকা কি আসলেই কাজ করবে?
কোনো তি হবে না তো?
সরকারকে অভিনন্দন যে আমরা গরিব দেশ হলেও সবাইকে বিনা
মূল্যে টিকা দেওয়ার মতো একটি বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পৃথিবীর অনেক ধনী
দেশ যে সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারেনি। এখন প্রয়োজন এই সিদ্ধান্তকে
সুচারুভাবে বাস্তবায়নে সবাই মিলে সচেষ্ট হওয়া। জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে,
টিকা আবিষ্কার যেমন একটা কঠিন কাজ, তেমনি এর সুষ্ঠু বিতরণ ও সঠিক নিয়মে
প্রয়োগও অত্যন্ত কঠিন। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে যে টিকা আনা
হচ্ছে তা যদি সঠিকভাবে বিতরণ, সংরণ ও প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে টিকার পাহাড়
জমে থাকবে; কিন্তু দেওয়া সম্ভব হবে না, টাকা ও টিকা নষ্ট হবে। কারো প্রতি
কোনো কটা না করে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা চলমান কেস স্টাডি দিয়েই
আমরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।
সেই বিশাল দেশে,
বলা যেতে পারে যে মহাদেশে, প্রতিটা জনবসতিতে টিকা পৌঁছে দেওয়া একটা
অত্যন্ত দুরূহ কাজ। বিতরণ সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক করার জন্য মার্কিন সামরিক
বাহিনীর দুজন সক্রিয় জেনারেলকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। তাঁরা, তাঁদের বাহিনী
পরিবহন ও সরঞ্জামের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁদের মিশন শুরু করলেন।
কিন্তু তা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কেউ কেউ অভিযোগ করলেন যে তাঁদের টিকার যে
চাহিদা পাঠানো হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম পাঠানো হয়েছে। এতটা কম যে এ দিয়ে
টিকা প্রয়োগের কাজটিই শুরু করা যাবে না। তদন্ত করে দেখা গেল যে পাঠানো
চাহিদাপত্র উলট-পালট হয়ে যাওয়াই এর কারণ।
তারা যে টিকা দিয়ে তাদের টিকা
প্রয়োগের কাজ শুরু করেছে তা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরণের জন্য যে
বিশেষ ফ্রিজার দরকার তা প্রয়োজনীয়সংখ্যক নেই। এই সমস্যাটা বিশ্বের সবচেয়ে
ধনী এই দেশটিতে মারাত্মকভাবে দেখা গিয়েছিল। তাদের টাকার কোনো অভাব নেই।
কিন্তু সেই ফ্রিজার তো রাতারাতি পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে ড্রাই আইস দিয়ে
কাজ চালানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাতে তাপমাত্রা রা হচ্ছে, কিন্তু ড্রাই
আইস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের শ্বাসকষ্টের
কারণ হয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে যে এটা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাজ চলবে না। সমাধান
একটাই। হয় সেই ফ্রিজারের ব্যবস্থা করো, কিংবা টিকা বদলাও। যে টিকা সাধারণ
ফ্রিজারে বা রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে সেই টিকা আনো। কিন্তু তা বললেই তো হবে
না। এরই মধ্যে যে টিকাগুলো কেনা হয়ে গেছে সেগুলোর কী হবে? তা ছাড়া নতুন
টিকাই বা এত পাওয়া যাবে কোথায়? টাকা থাকলেই কী টিকা পাওয়া যায়? আর পাওয়া
গেলেও তা হাতে আসার জন্য যে সময় অপো করতে হবে তা মেনে নেওয়া অসম্ভব।
খোদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা প্রয়োগ করতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল করা হয়েছে।
আগের একটি বছরেও আরেকটি কম্পানির টিকা নিয়ে সেখানে একই ধরনের ভুল হয়েছিল।
ফলে রিভ্যাকসিনেশনের প্রয়োজন হয়েছিল। এবারও কি রিভ্যাকসিনেশন লাগবে? কী
সর্বনাশ! যারা একবার টিকা নিয়ে চলে গেছে তাদের ফিরিয়ে এনে আবার টিকা দেওয়া?
একেবারে নাক-কান কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা!
টিকার প্রতিটি ভায়ালে পাঁচটি
ডোজ থাকার কথা। কিন্তু থাকছে তার বেশি। ফলে হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে একটা
বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কারণ তারা জানে যে এখানে পাঁচটি ডোজ আছে। বেশিটা
কোথা থেকে এলো তা নিয়ে তারা সন্দিহান হলো যে তারা কোনো ভুল করছে কি না।
বিষয়টা মিডিয়ায় আসার পর কম্পানি বলল যে এটা উৎপাদক বা হাসপাতাল বা ফার্মেসি
কারোরই ভুল নয়। কম্পানি ইচ্ছা করেই বেশি দিয়েছে। সেটা তো আগে বললেই হতো!
কিন্তু ঘোষিত মাত্রার চেয়ে বেশি দেওয়ার তো নিয়ম নেই। এটা প্যাকেজিং জিএমপির
পরিপন্থী। সন্দেহ দূর করার জন্য তারা এরপর বলল যে টিকার প্রতিটা ভায়ালে
পাঁচটি ডোজের কথা লেখা থাকলেও আসলে মানবিক কারণে ছয়টি করে ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
তখন সমস্যা দেখা দিল আবারও। কারণ অনেক ভায়ালেই পাঁচটি ডোজের বেশি টিকা
থাকলেও ছয়টি ডোজের কম রয়েছে। ফলে ডাইলিউশন করতে গিয়েও গোলমালে পড়তে হচ্ছে।
সব ভায়ালে টিকার ঘনত্ব একই থাকছে না। অব্যবস্থাপনা যে উন্নত দেশেও হয় এবং
বিশ্বের অতি বিখ্যাত কম্পানিরাও তা করে থাকে, এটা তার একটা উদাহরণ।
উদাহরণ
আরো আছে। ফ্রিজিং চেম্বার থেকে টিকা বের করে প্রথমে একে গলিয়ে স্বাভাবিক
করতে হবে, ওষুধবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে আমরা বলি থয়িং। কিন্তু থয়িং মোটেও কোনো
হালকা বিষয় নয়। সাবজিরো অবস্থার ফ্রিজড টিকাকে বের করে থয়িং করার জন্য যে
প্রটোকল তা অরে অরে পালন করতে হয়। নইলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
ডাইলিউয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত নরমাল স্যালাইনকে হতে হবে প্রিজারভেটিভমুক্ত।
যে ভায়াল থেকে নরমাল স্যালাইন নেওয়া হচ্ছে তা একবারের বেশি নেওয়া যাবে না।
এরপর নরমাল স্যালাইন যতটুকুই থাকুক তা ভায়ালসুদ্ধ ফেলে দিতে হবে।
ডাইলিউয়েন্ট মেশানোর পর টিকার ভায়ালকে ঝাঁকি দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশে
আমরা কিন্তু ভায়ালের ওষুধ আর ডাইলিউয়েন্ট ভালো করে মেশানোর জন্য এক হাতে
ভায়ালকে শক্তভাবে ধরে আরেক হাতের তালুতে জোরে বারবার আঘাত করি। কিন্তু এ
রকম ঝাঁকি দিয়ে এই টিকা মেশানো যাবে না। কোনো ভায়াল ঝাঁকি খেলে তা ভায়ালসহ
ফেলে দিতে হবে।
তাহলে ভায়ালের ভেতর ডাইলিউয়েন্ট মেশানো হবে কিভাবে?
উত্তর হচ্ছে, কাত করে ও সোজা করে। খাড়া ভায়ালটি দ্রুত নয়, বরং ধীরে ধীরে
কাত করে ৯০ ডিগ্রি কোণ পর্যন্ত এনে আবার ধীরে ধীরে সোজা করতে হবে। এভাবে
১০-১৫ বার করতে হবে। থয়িং এবং ডাইলিউয়েন্ট মেশানোর পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে ভায়ালের মধ্যে থাকা সব টিকা দেওয়া না হলেও টিকাসুদ্ধ ভায়ালটি ফেলে
দিতে হবে। এখানে দয়ামায়ার কোনো স্থান নেই। সমস্যার এখানেই শেষ তা নয়।
আমেরিকায়ও ফেলে দেওয়া খালি ভায়ালগুলো কে বা কারা সংগ্রহ করছে। এর উদ্দেশ্য
যে নিশ্চয়ই খুব মহৎ নয়, তা আমরা বাংলাদেশের পোড় খাওয়া সংশ্লিষ্ট লোকেরা
ভালোই বুঝতে পারি।
কম্পানি বলছে, টিকার একেকটি ডোজ ০.৩ মিলি অর্থাৎ
প্রতিজনের জন্য ভায়াল থেকে ০.৩ মিলি নিতে হবে এবং এর আগে ০.৯ শতাংশ নরমাল
স্যালাইন মিশিয়ে ডাইলিউট করে নিতে হবে। কিন্তু কিভাবে ডাইলিউট করতে হবে তা
বলা ছিল না। ফলে হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোতে যারা টিকা দিচ্ছে তারা ভায়াল
থেকে ইঞ্জেশন সিরিঞ্জে ০.৩ মিলি নিয়ে তার সঙ্গে ০.৯ শতাংশ নরমাল স্যালাইন
মিশিয়ে তা পুশ করতে লাগল। এখানে দুটি ভুল হলো। প্রথমত, সিরিঞ্জে কিছু
মেশানোর নিয়ম নেই। মেশাতে হবে ভায়ালে। দ্বিতীয়ত, সিরিঞ্জে টিকা নিয়ে তারপর
স্যালাইন নিতে গিয়ে বেশির ভাগ েেত্র স্যালাইন কিছু বেশি নেওয়া হয়ে যেতে
পারে। তখন কিছুটা স্যালাইন ফেলে দিয়ে সেটা আবার অ্যাডজাস্ট করা হয়। তাতে
টিকার কিয়দংশও বেরিয়ে যায়। ফলে টিকার ডোজ কমে যায়। তাতে টিকার কার্যকারিতা
প্রত্যাশিত মাত্রায় না-ও থাকতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা
ভায়ালে না মিশিয়ে সিরিঞ্জে মেশানো, এসেপটিক অবস্থায় না মেশানো, খালি আস্ত
ভায়াল ফেলে দেওয়ার ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ভুল প্রথম ধরিয়ে দিয়েছেন একজন বাংলাদেশি
ফার্মাসিস্ট ভাস্কর করিম। তিনি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ফার্মেসি
বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্ম.ডি
করে এখন সেখানকার হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট। এরপর অন্য ফার্মাসিস্টদেরও
বিষয়টা নজরে আসে এবং কম্পানি তাদের ডিসপেন্সিং ডিরেকশনস শুধরে নেয়।
এর
আগে মিডিয়ায় খবর এসেছিল যে একটি হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু করোনার টিকার ভায়াল
কে বা কারা ফ্রিজার ভেঙে চুরি করে নিয়ে গেছে। এটিও ভয়ংকর খবর, কারণ এগুলো
সংরণ করার জন্য যে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রার ফ্রিজার প্রয়োজন, তা এই
তস্করদের থাকার কথা নয়। ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া তারা যখন এগুলো
বেসরকারি দোকান থেকে মানুষকে টিকা হিসেবে দেবে, তখন সঠিক নিয়মে দিতে পারবে
না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের টিকা ব্যবস্থাপনা টিমকে যা সবচেয়ে পীড়া দিয়েছে, তা
হলো সরকারি হাসপাতালের সংরতি এলাকা থেকেও চুরি হওয়ার অস্বাভাবিক ঘটনা। এটা
তারা ভাবতেই পারে না।
কিন্তু আমাদের কাছে এটা একটা ‘সাধারণ’ ঘটনা।
আমাদের দেশে সরকারের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও হাসপাতালগুলো থেকে ওষুধ চুরি
ঠেকানো যাচ্ছে না। এই সরকার হাসপাতালগুলোর সেবার মান বাড়ানোর জন্য রোগীদের
খাবার ও ওষুধের বাজেট দ্বিগুণ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সরকার
বাড়ালেও গ্রাসরুট পর্যায়ে খাবারের মানের দ্বিগুণ উন্নতি হয়নি। ওষুধের চুরি
কিছুটা কমেছে; কিন্তু বন্ধ হয়নি। লাল-সবুজ রঙে হাসপাতালের ওষুধের লেবেল
ছাপিয়েও কাজ হয়নি। যাচাই করার জন্য আমি নিজে হাসপাতালের বাইরের গেটের
অদূরের ওষুধের দোকান থেকে লাল-সবুজ লেবেলের ওষুধ অনায়াসে কয়েকবারই কিনতে
পেরেছি।
এই পরিপ্রেেিত আমাদের দেশে টিকা সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিভাবে
বিতরণ ও সংরণ করা হবে তা নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলো ভাবছে।
আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে, এখন অন্যান্য দেশের খারাপ ও ভালো অভিজ্ঞতাগুলো
বিশদভাবে পর্যালোচনা করা হোক। আমাদের দেশের সঙ্গে সেগুলো মিলিয়ে দেখা হোক। এ
বিষয়ক পরিকল্পনা ও মনিটরিংগুলো শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ
না রেখে সঙ্গে বিভিন্ন েেত্রর বিশেষজ্ঞদেরও সম্পৃক্ত করা হোক। বিশেষজ্ঞ
নির্বাচনের সময়ও চিকিৎসকদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্টদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
ফার্মাসিস্ট বলতে আমি ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট বা ফার্মেসি কাউন্সিলের ‘সি’
ক্যাটাগরির সনদপ্রাপ্ত ওষুধ বিক্রেতাদের বোঝাচ্ছি না, গ্র্যাজুয়েট ও
পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদেরই বোঝাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য বড়ই
দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক
কোর্স চালু হলেও এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা পড়ানো হলেও বাংলাদেশে এখনো
সবাই না হলেও অনেক সরকারি কর্মকর্তা ও চিকিৎসকনেতা ফার্মাসিস্ট বলতে
ফার্মাসিস্টদের না বোঝে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট ও ছয় মাসের প্রশিণপ্রাপ্ত
ওষুধ বিক্রেতাদেরই বোঝেন। যাই হোক, ফার্মাসিস্টদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন
এ কারণেই যে ওষুধের কার্যকর ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে চিকিৎসক ও
ফার্মাসিস্ট উভয়কেই লাগবে। বিশেষ করে এই মহামারির সময় টিকার মাধ্যমে
দেশব্যাপী হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য
চিকিৎসক-ফার্মাসিস্ট-নার্স-প্রশাসক-জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-ভোক্তা
প্রতিনিধি—সবাইকেই প্রয়োজন।
আসুন, টিকার সুষ্ঠু বিতরণ, সংরণ ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে অন্যান্য দেশ থেকে আমরা শিা নিই।
লেখক : অধ্যাপক, পরিচালক বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার; সাবেক ডিন, ফার্মেসি অনুষদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]