অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে বসে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত
হচ্ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ‘শহীদ জিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ’র
অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদ। একইসঙ্গে এর আগে ওই প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কার করা পাঁচ
শিক্ষককে স্বপদে বহাল করা হচ্ছে।
শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন-অর-রশিদের স্বাক্ষরিত
চিঠিতে বলা হয়, অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে আনা প্রভাষক এবং অধ্যক্ষ
পদে অবৈধ নিয়োগ, দায়িত্বে অবহেলা, প্রশাসনিক অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির
অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে শিক্ষা
বোর্ডকে জানাতে হবে।
চিঠিতে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা ৫ শিক্ষক- সহকারী শিক্ষক
শাহীন আসমা, রুমিনা খানম, প্রভাষক শামসুন্নাহার ও তৌহিদুল হাসান এবং আনিসুর
রহমানকে স্বপদে পুনর্বহাল করে একই সময়ের মধ্যে বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ
দেয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, অবৈধভাবে
শিক্ষক বহিষ্কার ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন
(দুদক), শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
অধিদফতর, পরির্দশন ও নিরীক্ষা অধিদফতর, জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসে লিখিত
অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগগুলো তদন্ত করতে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত পরিদর্শন
ও নিরীক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়। তার রিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার
করে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ, বৈধ শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা,
প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এর আগে অধ্যক্ষ ফাতেমা রশিদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের তদন্ত করে থানা ও
জেলা শিক্ষা অফিস। ওই তদন্তেও অধ্যক্ষ ফাতেমার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা
মেলে।