‘সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিপন্ন মানবতার পাশে বাংলাদেশ’
Published : Friday, 29 January, 2021 at 12:00 AM
বাংলাদেশকে
আরও বহুদূর এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও
বাংলাদেশ বিপন্ন মানবতার ডাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। বহির্বিশ্বে
সুসম্পর্ক বজায় রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের সবার সঙ্গে
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, কারও সঙ্গে বৈরিতা নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৮
ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড
অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) ২০২০-২০২১ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে
অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র দিয়ে গেছেন—তা হলো “সকলের সাথে
বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়”। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা
আন্তরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বিভিন্ন
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও
গৌরবময় ভূমিকা রাখছে।’
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া
প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছি। তারা যেন নিজ
দেশে ফিরে যেতে পারে সেই ব্যবস্থার জন্য আমরা কিন্তু কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে
লিপ্ত হইনি। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, তারা যেন
তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব নিয়েই এ কাজ
করে যাচ্ছি। যদিও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমার অন্যায় করেছে। আশা করি দেশটি
তাদের নাগরিকদের ফেরত নেবে।’ বাস্তুচ্যুত, নির্যাতিত মিয়ানমারের নাগরিকদের
আশ্রয় দেওয়ায় সারা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি
বলেন, ‘২০২১-২০৪১ প্রেতি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২০৪১-এ বাংলাদেশ কেমন
হবে। আমরা ২০২১-এ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো, সঙ্গে জাতির পিতার
জন্মশতবার্ষিকী। কিন্তু ২০৪১-এর বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ। আর সেই ল্য
নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব
যখন স্থবির তখন দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা চলমান রাখা ও অর্থনীতির চাকা
গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদেেপর কথাও তুলে ধরেন তিনি।