চাঁদপুরে প্রতিনিয়তই ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়েই চলছে। তাতে করে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাঁশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশী। বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতাল গুলোতে এ রোগীর সংখ্যাই এখন সবচেয়ে বেশী। শুধু প্রাইভেট হাসপাতাল নয়, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি শিশু ও বয়স্ক রোগীরা আসছে চরাঞ্চল থেকে।
বিশেষ করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে এমন রোগীর সংখ্যা এখন সর্বাধীক। ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য বয়স্ক ও শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে বেশী রোগী আছে শিশু ওয়ার্ডে। সেই সব শিশুর প্রায় সকলেই সর্দি, জ্বর, কাঁশি, ও খিচুনি রোগে আক্রান্ত।
গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় এ ওয়ার্ডে শিশু রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আর পুরুষ ওয়ার্ডে এমন রোগী আছেন ৬৫ জন। এসব রোগীর সংখ্যা অতিরিক্ত হওয়ার কারনে ও স্থান সংকুলানের জন্য বহু রোগীর ঠায় হয়েছে হাসপাতালের মেঝেতে ও বারান্দায়। বর্তমানে এ হাসপাতালের তিন তলায় পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে পা পালানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। এতটাই রোগীর চাপ তা সামাল দিতে ডাক্তার, সেবক ও নার্সরা হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠাণ্ডা ও জ¦রে আক্রান্ত রাজরাজেশ^র ইউনিয়নের রহিম মাঝির শিশু পুত্রকে এখানে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি জানান, চরাঞ্চলে দিনে কিছুটা আবহাওয়া গরম থাকলেও বিকেলের পর থেকেই হিম শীতল বাতাস বইতে থাকে। আর রাতে পচন্ড শীত উপলব্ধি করতে হয়। এতে করে শিশুরা ঠাণ্ডা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, গত কয়েকদিন শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বের চাইতে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদের মধ্যে শিশুদের ক্ষেত্রে অধিকাংশরই শ্বাস জনিত ও নিমোনিয়ায় ভর্তি হচ্ছে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্বাস কষ্ট ও পূর্বে যাদের শ্বাস কষ্ট ছিলো বর্তমানে তাদের শ্বাস কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। এই রোগগুলির কারনেই হাসপাতালে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।