বাংলাদেশ
থেকে আরো শ্রমিক নেবে মালদ্বীপ। চুক্তির ভিত্তিতে কাঠামো তৈরি করে এ দেশ
থেকে কর্মী নিয়োগ দেবে তারা। বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকও
স্বারিত হয়েছে মালদ্বীপের। বাংলাদেশ সফরে এসে এক যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। এটি আমাদের জন্য একটি ভালো খবর।
কারণ জনশক্তি রপ্তানি আমাদের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। এই জনশক্তির
পাঠানো অর্থই রেমিট্যান্স বা প্রবাস-আয় নামে পরিচিত। অর্থনীতিতে ও সমাজে
প্রবাস-আয়ের ভূমিকা সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত। বর্তমানে মালদ্বীপে প্রায় ৮০
হাজার বাংলাদেশি কাজ করছে।
মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের
বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ। তবে এসব দেশে দ জনশক্তি
রপ্তানির পরিমাণ খুবই কম। দ জনশক্তির বাজারটি ভারতের দখলে, এ েেত্র
পাকিস্তানও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। কার্যত দ জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি
বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়ে কখনো ভেবেছে বলে মনে হয় না। দ জনশক্তি রপ্তানির
মাধ্যমে আরো বেশি রেমিট্যান্স আয় সম্ভব হতে পারে। কারণ দ জনশক্তি
স্বাভাবিকভাবেই বেশি আয় করবে। এর জন্য কর্মনিষ্ঠা ও যথার্থ কর্মপরিকল্পনা
দরকার। গাদা গাদা অদ জনশক্তি রপ্তানি করে যা আয় হবে, অল্পসংখ্যক দ জনশক্তি
তার চেয়েও বেশি আয় করতে পারবে। ভালো লেখাপড়া জানা থাকায় প্রবাসজীবনে তাদের
ভোগান্তিও কম হবে। এ জন্য যে ট্রেডগুলোর কদর বেশি সেই ট্রেডগুলোতে তাদের
প্রশিতি করে তুলতে হবে। অনেকে নিজেরাই দতা অর্জন করে বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠান
থেকে বের হয়। তাদের শুধু বৈদেশিক রীতিনীতি সম্পর্কে অবহিত করাই যথেষ্ট।
তাদের েেত্র যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো তাদের দতা প্রয়োগের ত্রেটি খুঁজে
বের করতে হবে। অর্থাৎ জনশক্তির নতুন নতুন বাজারের সন্ধান করতে হবে। দ
জনশক্তি রপ্তানির ল্েয সরকার কিছু কাজও করছে। প্রতি উপজেলায় একটি
টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দ
জনশক্তি খোঁজা এবং তাদের জন্য বাজারের সন্ধান করা জরুরি। জাতীয় অর্থনীতির
স্বার্থেই তা করা দরকার।
বর্তমান সময়ে দতার বিকল্প নেই। দ জনশক্তির
রপ্তানি বাড়াতে পারলে রেমিট্যান্সও বাড়বে, তাতে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ খাতটি আরো শক্তিশালী হবে। বিদেশে যারা নিয়োজিত হচ্ছে, তাদের
নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।