করোনার কারণে গত বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়ায়নি। এ বছরও হচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তিন বছরের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের যে খসড়া সূচি করেছে, সেটি ঠিক থাকলে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে বিপিএলের অষ্টম আসর।
করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে হয়নি বিপিএল। এ বছরও হচ্ছে না। নতুন ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিপিএল রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে বিপিএলের অষ্টম আসর। আর ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি হবে কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতাটির নবম আসর।
২০২১ সালে বিপিএল না হওয়া প্রসঙ্গে বিসিবির এক পরিচালক বলেছেন, ‘কোনোভাবেই চলতি বছর বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। আমরা যেভাবে ক্রিকেট ক্যালেন্ডার করেছি, আশা করি সেভাবেই আমরা লিগগুলো চালাতে পারবো। বর্তমানে জাতীয় দলের ব্যস্ততা, করোনা পরিস্থতি, অর্থনৈতিক অনেক কিছু বিবেচনার করেই আমরা বিপিএল বাদ দিয়েছে। আগামী বছর থেকে যথা সময়ে জনপ্রিয় এই লিগটি ফের শুরু হবে।’
একবছর বন্ধ থাকার পর জাতীয় লিগ দিয়ে ফিরছে ঘরোয়া ক্রিকেট। সূচি অনুযায়ী, ২২ মার্চ শুরু হবে ২২তম জাতীয় লিগ। এই বছরই দুটি জাতীয় লিগ হবে। ৬ মাস পর অক্টোবরে ২৩তম জাতীয় লিগ মাঠে গড়াবে। ১৫ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ নভেম্বর।
২০২২ ও ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে সময়টা রাখা আছে জাতীয় লিগের জন্য। জাতীয় লিগ শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট বিসিএল শুরু হবে। ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসটা বিসিএলের জন্য ফাঁকা রেখেছে বিসিবি।
এদিকে গত বছর মার্চে স্থগিত হওয়া ঢাকা লিগের জন্য আগামী মে ও জুন মাসে তিনটি ফাঁকা সময় রেখেছে বিসিবি। তবে এবারের লিগটি কুড়ি ওভারের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ।
দুই দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘এখনও সবকিছু আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছে। কাবগুলোর সঙ্গে আগে বসতে হবে। সব কাবের মতামত আগে আমরা নেবো। কাবগুলোর সঙ্গে সামনের শনিবার কিংবা রবিবার মিটিং করবো। এরপর বোর্ডেরও একটা দিক-নির্দেশনা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।’