দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২৭২ রানের লক্ষ্যে প্রতিরোধ গড়ে খেলছেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। দুজনের ফিফটি ছাড়ানো পার্টনারশিপে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান।
পঞ্চম ওভারে বিপজ্জনক মার্টিন গাপটিলকে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিদায় নেওয়ার আগে অবশ্য মেরে খেলার চেষ্টা করছিলেন কিউই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মারেন দুটি চার। যে বলটিতে তিনি আউট হয়েছেন সেটি অবশ্য ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। লিডিং এজ হয়ে বল ওপরে উঠলে মোস্তাফিজ নিজেই দৌড়ে ক্যাচ নেন। ২৪ বলে গাপটিল ফেরেন ২০ রানে।
উইকেট পড়লেও রানের চাকা ঠিকই সচল থাকে নিউজিল্যান্ডের। তখন নবম ওভারে বল করতে আসেন আগের ম্যাচে অভিষিক্ত অফস্পিনার মেহেদী হাসান। এই কৌশলেই কাজে দেয়। তার ঘূর্ণি বলে বোল্ড হন হেনরি নিকোলস। তিনি ফেরেন ১৩ রানে। মেহেদীর প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটও এটি।
মেহেদী পরের ওভারে এসে বাজিমাত করেন আবারও। তার অসাধারণ স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন নতুন নামা উইল ইয়ং। বিবর্ণ শুরুর পরই চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথামের জুটিতে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ব্যাট করছেন ৩৮ রানে! সঙ্গে আছেন টম ল্যাথাম (৩২)।
এর আগে টস হেরেও তামিম ইকবাল ও মিঠুনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল করেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান। মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচে সমৃদ্ধ এই স্কোরবোর্ডে সিরিজে সমতার আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। কারণ হ্যাগলি ওভালের এই মাঠে সর্বোচ্চ ২৬১ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে। ২০১৪ সালে এখানে কেনিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল স্কটল্যান্ড।