নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে অস্ত্র ও ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কায়কোবাদ পাঠান ও তার দুই সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ আসামিদের নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মিল্টন হোসেনের আদলতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদকের দুইটি মামলায় সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে দুইটি মামলায় প্রত্যেকের দুইদিন করে চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আসামিদের এই রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ২৫ রাউন্ড গুলিসহ দুইটি বিদেশি পিস্তল ও ২৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ এসআই কায়কোবাদ পাঠান ও তার দুই সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩ ব্যাটালিয়ানের একটি দল। পরে র্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় মঙ্গলবার সকালে এসআই কায়কোবাদসহ তিন আসামিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
র্যাব-৩ ব্যাটালিয়ানের সহকারী সুপার সুপার ও অপারেশন অফিসার ফারজানা হক গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, চট্টগ্রাম থেকে মাদক নিয়ে এক ব্যবসায়ী ঢাকার দিকে আসছে এমন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয়। তখন সন্দেহভাজন একটি সাদা প্রাইভটেকার টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাইভেটকারের পেছনের সিটে বসা ছিলেন কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কায়কোবাদ ও তার সহযোগী রবিন হোসেন। প্রাইভেটকারটির চালকের আসনে ছিলেন সোহেল মিয়া। তখন প্রাইভেটকারের ভেতরে তল্লাশি করে ২৪০ বোতল ফেনসিডিল ও এস আই কায়কোবাদের কাছ থেকে ২৫ রাইন্ড গুলিসহ দুইটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।
র্যাবের একটি সূত্র জানায়, আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) কায়কোবাদ দীর্ঘদিন ধরে নদী পরিবেষ্টিত দূর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়া এলাকাসহ পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মেঘনা থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে র্যাব কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে এসআই কায়কোবাদসহ তিনজনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি স্বীকার করে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, র্যাবের দায়ের করা মাদক ও অস্ত্র মামলায় পুলিশের এসআইসহ তিন আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করে আদলতে পাঠানো হয়। আদলত তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ ব্যাপারে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।