প্রথা ভেঙে পাকিস্তানে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য একটি মাদ্রাসা চালু করা হয়েছে।
এখানে তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি দরকারি অন্যান্য শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসাটি স্থাপন করেছেন রানী খান নামের তৃতীয় লিঙ্গের একজন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মাথায় সাদা রঙের একটা শাল বেঁধে রানী খান প্রতিদিন তাদের কুরআন পড়তে শেখান। নিজের জীবনে সব সঞ্চয় ব্যবহার করে এই মাদ্রাসা চালু করেছেন তিনি। মাদ্রাসায় ছাত্র শিক্ষক সবাই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
রক্ষণশীল মুসলিম দেশ পাকিস্তানে তৃতীয় লিঙ্গকে ২০১৮ সালে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের ভোটাধিকার এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেরে জেন্ডার বেছে নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে ২০১৭ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী, ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা এক লাখ। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে এ সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য সরকারি কোনো ধর্মীয় শিক্ষালয়ে কিংবা প্রার্থনার জন্য মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ না হলেও প্রতিটি পদে তাদের সাধারণ মানুষের ঘৃণা ও বিদ্রূপের শিকার হতে হয়।
৩৪ বছর বয়সি রানী খান বলেন, বেশিরভাগ পরিবারই ট্রান্সজেন্ডারের ঘর থেকে বের করে দেয়। তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। একসময় আমি নিজেও তাদের মতো কষ্টভোগ করেছি। একপর্যায়ে চোখের পানি মুছে রানী বলেন, আমার পরিবার আমাকে ১৩ বছর বয়সে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়।