ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
 লকডাউনের তোয়াক্কা নেই ব্যবসায়ীদের
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.04.2021 12:39:42 AM
 লকডাউনের তোয়াক্কা নেই ব্যবসায়ীদেররণবীর ঘোষ কিংকর: করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে সরকার এক সপ্তাহের লক ডাউন ঘোষণা করার দ্বিতীয় দিনেও কুমিল্লার চান্দিনায় সফল করা সম্ভব হয়নি সরকারি কর্মসূচী।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৫টি মামলায় জরিমানা আদায় করে। এসময় ২হাজার ৩শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ।  একই সময় থানা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে সচেতনা করা হচ্ছে।
কিন্তু তাতেও তোয়াক্কা নেই ব্যবসায়ীদের। ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের অভিযানে তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করলেও প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে ফের দোকান খুলে বসে প্রায় অর্ধেক ব্যবসায়ী। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যায় যেন- প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ীরা ‘চোর পুলিশ’ খেলা খেলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চান্দিনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি বড়-বড় স্টেশনারী দোকান, মোবাইল শো রুম, ফার্ণিচার দোকান, টাইলস-স্যানেটারী, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক দোকান, হার্ডওয়ার, কোকারিজ দোকান, পলিথিন দোকান খোলা রয়েছে। যা নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবসায় পড়ে না।
সরকারের নির্দেশ অমান্য করে অর্ধেক ব্যবসায়ী দোকান-পাট খুলে ব্যবসা করায় যারা বন্ধ রাখছেন তাদের মধ্যেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।  দোকান বন্ধ রাখা ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট ক্রেতারা হাত ছাড়া হয়ে অন্য দোকানে চলে যাচ্ছে। একদিকে নির্দেশ অমান্যকারী ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা অর্জন করছেন, অপরদিকে দোকান বন্ধ রাখা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী মানস নাহা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- আমার স্টেশনারী দোকান। সরকারি নির্দেশ মান্য করে আমি ব্যবসা বন্ধ করেছি। কিন্তু একই দোকান বাজারে বেশ কয়েকটি খোলা রয়েছে। আমার অধিকাংশ কাস্টমার অন্য দোকানে চলে যাচ্ছে।
অপরদিকে, ক্রেতাদের ক্ষোভ যারা দোকান খোলা রাখছে তারা তুলনা মূলক দামও বেশি নিচ্ছে।
এ ব্যাপার চান্দিনা বণিক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী ভূইয়া জানান- বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। তবে আমরা বণিক সমিতি সরকারের সিদ্ধান্ত মান্য করে ব্যবসায়ীদের সেই রকম নির্দেশণাও দিয়েছি। যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছে তাদের কোন দায়-দায়িত্ব আমাদের সমিতি নিবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সাথে একমত পোষণ করে সরকারের কাছে আহবান জানাচ্ছি দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় দোকান-পাট খোলা রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হউক।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- বিষয়টি আমরাও দেখছি। যারা এমনটা করছে তারা সরকারের নির্দেশ অমান্যকারী। আমাদের অভিযানে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।