Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.04.2021 12:40:00 AM
তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
লকডাউনেও দোকান-পাট খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন করেছে ব্যবসায়ীরা। সকালে
কুমিল্লা নগরীর কান্দির পাড়ে অবস্থান ও বিক্ষোভ পালন করেন বিভিন্ন শপিংমল ও
ব্যবসায়ি সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা। এসময় নগরীর লিবার্টি মোড় থেকে শুরু
করে কান্দিরপাড় পর্যন্ত রাস্তায় ব্যবসায়িরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শহরের অন্যান্য এলাকায়ও ব্যবসায়িরা নিজেদের
দোকান-প্রতিষ্ঠান ও শপিংমলের সামনে অবস্থান নেয়। ব্যবসায়িরা জানায়, লকডাউনে
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা দোকানপাট খোলা রাখতে চায়। এর আগেও লকডাউন পালন
করে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িরিা যে সংকটে পড়ে তা এখনো কাটিয়ে
ওঠা সম্ভব হয়নি। তাই এবার আর লকডাউন মেনে ব্যবসা বন্ধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
সরকার এ বিষয়ে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবেন বলেও তারা দাবি জানান।
বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আমিুনুল ইসলাম, সাধারণ
সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন, খন্দকার হক টাওয়ারের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার
হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, টাউন হল সুপার মার্কেটের সাধারণ
সম্পাদক মোঃ কাজল, সাত্তার খানের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনসহ
বিভিন্ন ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এর আগেও আড়াই মাস
কুমিল্লার ব্যবসায়িরা লকডাউন পালন করেছে। সে ক্ষতি এখনো পুষিয়ে ওঠা সম্ভব
হয়নি। এখন লকডাউনে সরকার কলকারখানা খোলা রেখেছে কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বন্ধ রেখেছে-এটা হতে পারে না। এবিষয়ে ব্যবসায়িদের সাথে আলোচনা করে
সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। কুমিল্লার ব্যবসায়িরা চায় স্বাস্থ্যবিধি
মেনেই দোকানপাট খোলা রাখতে। ব্যবসায়িদের প্রতিষ্ঠান খুলতে না দিলে আমাদের
মাঠে বসে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
বিক্ষোভ শেষে বিভিন্ন শপিং
মলেরও ব্যবসায়ি নেতা-কর্মীরা নগরীর কান্দিরপাড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময়
পূবালী চত্বরে জড়ো হয়েও তারা বিক্ষোভ করে।
এছাড়া নগরীর রেইসকোর্স
এলাকার ইষ্টার্ন প্লাজা, মনোহরপুরের গণিভুইয়া ম্যানশনস বিভিন্ন মর্কেট ও
শপিংমলেরও ব্যবসায়ীরাও নিজ নিজ ব্যানারে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন
করেন। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে টানা দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে এই আন্দোলন।