রাসূল (স:) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করায় এটা তার মাগফেরাতের বা ক্ষমা পাওয়ার ওছীলা হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম হবে। এই ইফতার করানোর দ্বারা আল্লাহপাক তাকে রোজাদারের রোজার সমত্যু ছাওয়াব দান করবেন। এতে ঐ রোজাদার ব্যক্তির ছাওয়াব কমবেনা। যিনি ইফতার করাবেন আল্লাহপাক তাকে নিজের ভান্ডার থেকে ঐ রোজাদারের রোজার সমপরিমান ছাওয়াব দান করবেন। হযরত ছাহাবায়ে কেরাম (রা:) আরজ করলেন হে আল্লাহর রাসূল ইফতার করানোর মত সঙ্গতী আমাদের সকলের নেই। নবী (স:) বললেন: একটা খুরমা খাওয়ালে বা এক ঢোক পানি পান করালে বা এক চুমুক দুধ পান করালে ও এই ছাওয়াব পাওয়া যাবে। একটু দেখুন রমজানের একটা রোজার ছাওয়াব কত? কেউ যদি সারা জীবন নফল রোজা রাখে একটা ফরজ রোজার সমতুল্ল হয় না অথচ একজন রোজাদারকে ইফতার করালে আল্লাহপাক এই পরিমান ছাওয়াব দান করেন। এক হাদিসে প্রিয় নবী (স:) এরশাদ ফরমান, যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে পান করাবে, আল্লাহপাক এর বদৌলতে কেয়ামতের ময়দানে আমার হাউজে কাউছার হতে তাকে শরবত পান করাবেন। হাউজে কাউছার থেকে শরবত পান করার সৌভাগ্য যার হবে কেয়ামতের দীর্ঘ সময় পার করে জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারে পীপাষা লাগবে না। অতএব রোজাদারকে ইফতার করানোর মত এত বড় ফজিলতের কাজে যাদের তাওফীক আছে সকলে অংশ গ্রহণ করব ইনশাআল্লা।