ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ২১ জন বিচারপতি ও অধস্তন আদালতের ২৩১ জন বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ২০০ জন কর্মচারী ও অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারীও আক্রান্ত হন।
এর মধ্যে অধস্তন আদালতের জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক ও ছয়জন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেন।
রোববার (৯ মে) হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার ও সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর জন্য গত বছরের ২৬ এপ্রিল উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন ও ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ওইদিন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।
এ অবস্থায় একই বছরের ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয় (পরে এটি সংসদে পাস হয়)। এরপর ভার্চুয়ালি বিচার কাজ শুরু হয়।