সিলেটের বিশ্বনাথে প্রবাসী সাইফুল আলমের এলোপাতাড়ি গুলিতে ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে নিহত স্কুলছাত্রের পুরো পরিবার। নিহত ওই স্কুলছাত্র উপজেলার চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়ার একমাত্র ছেলে সুমেল মিয়া (১৭)। ওই গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহত সুমেল মিয়ার বাবা মানিক মিয়াও।
গত ১ মে রাস্তায় মাটি কাটা নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের ওপর গুলি চালায় একই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাওর সম্রাট নামে পরিচিত সাইফুল আলম (৪০)। ঘটনার দিন এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় জনতা ও নিহত সুমেল মিয়ার পরিবার।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন নিহত সুমেল মিয়ার মা। একমাত্র ভাইকে হারিয়ে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে তার ছোট তিনটি বোন। তাদেরও ভাই ডাকার মতো জগতে আর কেউ রইল না। হয়তোবা বড়ভাই নিহত সুমেল মিয়াকে নিয়ে তাদেরও স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া।
ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অনেক ধুমধাম করে পালন করবেন ঈদুল ফিতর। সঙ্গে থাকবেন কৃষক বাবা আর গর্ভধারিণী মা। কিন্তু তাদের এই স্বপ্ন আজ স্বপ্নই রয়ে গেল। তিন বোনের একমাত্র ভাই কবরে আর বাবা রয়েছেন হাসপাতালে। শুধু ঈদের আনন্দই নয়, সারা জীবনের জন্য তছনছ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবারটি।
এ ঘটনায় ৩ মে নিহত সুমেল মিয়ার চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল (৩৫) বাদী হয়ে সাইফুল আলমকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের নামে থানায় মামলাও দায়ের করেছেন। কিন্তু ঘটনার দিন থেকে ৯ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র ডানা মেলেছে সমালোচনার শেকড়। অনেকের মতে রহস্যজনক কারণে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
তবে থানার ওসি শামীম মূসা বলেন, জানে-প্রাণে আসামিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মে সড়কে মাটি কাটা নিয়ে মানিক মিয়া ও সাইফুল আলমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আর এ বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে মারা যায় স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া ও গুরুতর আহত হন তার বাবা মানিক মিয়া।