স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম আইনপ্রণেতা হিসেবে জায়গা করে নিলেন ফয়সল চৌধুরী।
স্কটিশ লেবার পার্টির এই প্রার্থী স্কটল্যান্ডের লদিয়ান এলাকা থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ভোটের পর শুক্রবার এই ফল ঘোষণা করা হয়।
এবারের নিবার্চনে ১২৯টি আসনের মধ্যে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ৬৪, কনজারভেটিভ ৩১, লেবার পার্টি ২২, গ্রিন পার্টি ৮ ও লিবারেল ডেমোক্রেটস ৪টি আসন পেয়েছে।
নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে স্কটিশ পার্লমেন্টের সদস্যরা প্রস্তাবিত বিভিন্ন আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পাস করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফয়সল লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় বহু বছর ধরে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ পালার্মেন্ট নিবার্চনে এডিনবরার সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে তিনি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন।
এডিনবরা এবং লদিয়ান রিজিওনাল ইকুয়ালিটি কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সমিতি এডিনবরার চেয়ার ও এডিনবরা মেলার ভাইস চেয়ার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সিলেটের নবীগঞ্জের সন্তান ফয়সল চৌধুরী এডিনবরায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন। সেখানে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত তিনি। তরুণ বয়সে বাবা-মার সাথে বিলেত গিয়ে প্রথমে মানচেস্টারে বসবাস শুরু করলেও পরে এডিনবরায় চলে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন ফয়সল। বর্তমানে খাবার ও অতিথি ব্যবস্থাপনা ছাড়াও অর্থ ব্যবস্থাপনা ও আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত তিনি।
‘বাংলাদেশ সাইক্লোন আপিলে’ প্রায় আড়াই লাখ পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ ছাড়াও দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট কলম্বাস হসপাইস’, লিউকেমিয়া ও ক্যান্সার আপিলসহ ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’ এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার প্রশ্নে ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে গণভোটের সময় ‘বাংলাদেশিজ ফর বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইন’ এর সমন্বয়কারী ছিলেন ফয়সাল। মূলধারার রাজনীতিতে স্থানীয় বাংলাদেশিদের যুক্ত করতেও রয়েছে তার ভূমিকা রয়েছে।
২০০৪ সালে কমিউনিটি সেবার জন্য তিনি সম্মানসূচক খেতাব- ‘মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পান।