ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
অন্যের বউ ভাগিয়ে নিয়ে পালালেন মসজিদের ‘হুজুর’
Published : Saturday, 22 May, 2021 at 6:15 PM
অন্যের বউ ভাগিয়ে নিয়ে পালালেন মসজিদের ‘হুজুর’শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অন্যের বউ নিয়ে পালিয়েছেন এক মসজিদের হুজুর। অভিযুক্ত হুজুরের নাম মাও. মো.ফয়সাল আহমেদ কাউসারী। তিনি গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বাকসার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের নিয়মিত আলোচক ছিলেন। তার বাড়ি পাশ^বর্তী মুরাদনগর উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকায়। তার ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।
তিন সন্তানের জননী ওই নারীর নাম সালমা বেগম। তিনি বাকসার গ্রামের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।  শুক্রবার সকালে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী মো.আলাউদ্দিন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাও. মো. ফয়সাল আহমেদ কাউসারী গত দেড় বছর আগে বাকসার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। ওই সূত্রে তিনি ওই বাকসার বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আলাউদ্দিনের বাসায় যাওয়া আসা করতেন। পাশাপাশি তিনি আলাউদ্দিনের তিন বাচ্চাকেও নিয়মিত কুরআন শিক্ষা দিতেন।  এভাবে যাওয়া আসার মাঝে উভয়ের মধ্যে কথা বার্তা ও পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে  ওই নারী ঘরে রক্ষিত স্বর্ণলংকার, নগদ টাকা আনুমানিক ১০/১২ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে হজুরের হাত ধরে পালিয়ে যান।  
ওই নারীর দেবর মো. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার পর  থেকে তার বড় ভাই আলাউদ্দির অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার সাথে কথা বলার কোন অবস্থা নেই। ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা কখনো দেখিনি বা সন্দেহ করেনি। হজুর বাসায় আসতো আমাদের ভাতিজি ও ভাতিজাকে কোরআন পুড়াতো। সালমা বেগম ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র সহ প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকার স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।  অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 এ ব্যাপারে মসজিদের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। এ ঘটনায় এলাকায় মানুষ নানা কথা বলছে। হুুজুরের ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে এবং তার স্ত্রী দুই মাসের অন্তস্বত্তা।   
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় ওই নারীর স্বামী মো. আলাউদ্দিন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।  ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।