ফিলিস্তিনিদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দখলদার ইসরাইলের ধ্বংসকে নিকটবর্তী করেছে বলে মনে করছে ইরানের সেনাবাহিনী।
দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিজয়ে ফিলিস্তিনিদের অভিনন্দন জানিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে এমন কথা জানানো হয়।
ইরানি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের ১২ দিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়ের ঐশী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে।
ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে এটাকে মাকড়সার ডোম হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরানের সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের এবারের প্রতিরোধ নয়া অধ্যায়ের সূচনা করেছে এবং নিশ্চিতভাবে বলা যায় বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে হামাস যোদ্ধাদের অস্ত্র, প্রযুক্তি ও অর্থ সহায়তা দেওয়ায় ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাঈল হানিয়া। ফিলিস্তিনিদের বিজয়ে ইরান সবচেয়ে বড় অংশীদার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর গাজায় আয়োজিত এক জনসভায় দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ইসমাঈল হানিয়া বলেন, গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয় ভবিষ্যতে বড় পরিণতির দিকে যাবে। জেরুজালেমই হলো লড়াইয়ের মূল কারণ।
হামাস প্রধান বলেন, ইহুদিবাদীদের আগ্রাসন মোকাবেলা, জেরুজালেম, আল-কুদস ও আল-আকসার পবিত্রতা রক্ষায় আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে ইরান। তারা আমাদের বিজয়ের সবচেয়ে বড় অংশীদার। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করি- মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও দ্রুত গাজার মুসলিম ভাইদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে।
সংঘাতে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে আর্থিক ও সামরিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ইসমাইল হানিয়া।