ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস': বরগুনায় নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে
Published : Tuesday, 25 May, 2021 at 1:38 PM
ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস': বরগুনায় নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছেঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে। ঝড় আঘাত হানলে ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতায় নদ-নদীর পানি জোয়ারের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।  এতে জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল বুধবার আঘাত হানবে। সে সময় ভরা পূর্ণিমা থাকবে। উপকূলের জেলা বরগুনার নদ-নদীতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পূর্ণিমার সময় বাড়ে। ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা পাঁচ থেকে সাত ফুট বৃদ্ধি পায়। তখন ঝড়ের প্রভাবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে বলে পাউবো বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

১৯৬০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জেলায় ৮০৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নানা কারণে জেলার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি। জেলার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বাঁধের উচ্চতা ১৩ ফুটের একটু বেশি।

পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতায় নদ-নদীর পানি জোয়ারের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি গ্রামের বাসিন্দা খায়রুল আলম জানান, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় কর্তৃপক্ষের বাঁধ নির্মাণে টনক নড়ে। ঝড় থেমে গেলে তাদের আর খবর থাকে না। বর্ষা মৌসুমে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ কারণে বাঁধের স্থায়িত্ব থাকে না। বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি করা না হলে উচ্চ জোয়ারে বাঁধ প্লাবিত হয়ে বাজার এলাকা প্লাবিত হবে।

এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম জানান, জেলায় ১৩ ফুট বা তার একটু বেশি উচ্চতার প্রায় ৫০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। নানা কারণে এসব বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যদি ১৫ থেকে ১৮ ফুট উচ্চতায় নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হয়।

তিনি জানান, বরগুনা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর নির্মাণের ফলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বরগুনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ যুগোপযোগীভাবে নির্মাণ করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, বরগুনায় বাঁধগুলো পাকিস্তান আমলের। এরপর আর উল্লেখযোগ্যভাবে বরগুনায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে বরগুনার সিংহভাগ বাঁধ পানিপ্রবাহ প্রতিহত করার জন্য মোটেই উপযোগী নয়।