ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এসএসসি-এইচএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত কিছু দিনের মধ্যে: শিক্ষামন্ত্রী
Published : Wednesday, 16 June, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারীর কারণে অনিশ্চয়তায় পড়া ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে ‘কিছু’ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মঙ্গলবার ঢাকার ইডেন কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যত ধরনের বিকল্প হতে পারে, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। খুব শিগগিরই হয়ত আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
“এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কি পারব না, না পারলে কীভাবে মূল্যায়ন করব, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী কিছু দিনের মধ্যে হয়ত সময় বলে দেবে যে কোন পথে আমাদের যেতে হবে।”
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান।
এর পর আর কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
এর আগে গত রোববার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “আমরা এখন খোলার কথা ভাবতে পারছি না। সংক্রমণের হার কমছে, বাড়ছে। যদিও অন্য দেশের আমরা তুলনায় ভালো আছি।
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটাও দেশে সংক্রমণ কম থাকার অন্যতম কারণ।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি সর্বশেষ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, “এটা (সংক্রমণ) কমে গেলে হয়ত ৩০ জুনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখা দেবে। কিন্তু যদি আবার বাড়ে? আমরা তো অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”
এলাকাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।