ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এ যেন আত্মঘাতী গোলের আসর!
Published : Saturday, 26 June, 2021 at 12:00 AM
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যেন আত্মঘাতী গোলের মেলা বসেছে! কেবল শেষ হয়েছে গ্রুপ পর্বের খেলা, এরই মধ্যে আত্মঘাতী গোল হয়েছে ৮টি। এক আসরে আগের সর্বোচ্চ আত্মঘাতী গোলের চেয়েও যা ৫টি বেশি।
এর আগে ইউরোর ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ ৩টি আত্মঘাতী গোল দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সংস্করণে।
মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে আগের ৪০ বছরে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৯, ১৯৭৬ সাল থেকে। ১৯৭৬ আসরে হয়েছিল একটি আত্মঘাতী গোল। পরের চার আসরে ছিল না কোনো আত্মঘাতী গোল। ১৯৯৬ ও ২০০০ আসরেও হয় একটি করে। ২০০৪ আসরে হয় দুটি, ২০১২ সালে একটি।
এবারের আসর শুরুই হয় আত্মঘাতী গোল দিয়ে! উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালির বিপে নিজেদের জালে বল পাঠান তুরস্কের ডিফেন্ডার দেমিরাল। স্লোভাকিয়ার বিপে এই অভিজ্ঞতা হয় পোল্যান্ডের গোলরক ভয়চেখ স্ট্যাসনির।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপে বল কিয়ার করার চেষ্টার নিজেদের জালে পাঠান জার্মানির ডিফেন্ডার মাটস হুমেলস। সেটিই গড়ে দেয় ম্যাচের ব্যবধান। একই গ্রুপে জার্মানির বিপে পর্তুগাল তো চার মিনিটের মধ্যে করে বসে দুটি আত্মঘাতী গোল! নিজেদের জালে বল পাঠান যথাক্রমে রুবেন দিয়াস ও রাফায়েল গেররেরো।
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়ামের বিপে আত্মঘাতী গোল করেন ফিনল্যান্ডের গোলরক লুকাস। আসরে যা ষষ্ঠ।
গ্রুপ পর্বের শেষ দিন স্পেনের বিপে একটি আত্মঘাতী গোল করেন স্লোভাকিয়ার গোলরক মার্তিন দুবব্রাউকা। ইউরোর ইতিহাসে একই ম্যাচে পেনাল্টি সেভ ও আত্মঘাতী গোল করা প্রথম গোলরক তিনি।
ওই ম্যাচেই পরে নিজেদের জালে বল পাঠান স্লোভাকিয়ার কুচকা।
এবারের আসরের আগে ইউরোয় কখনও এক ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল হয়নি। এবার তা দেখা গেল দুই ম্যাচে।