ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
একশ বছরের গ্যারান্টি দেয়া বাঁধে ৬ বার ভাঙন
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 12:00 AM
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান হুন্দাই কোম্পানির ত্রুটির কারণে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ বারবার ভাঙনের কবলে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি জানান, এই বাঁধের একশ বছরের গ্যারান্টি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এটা এখন পর্যন্ত ছয়বার ভাঙনে কবলে পড়েছে।
সচিব বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ নদী শাসনের কাজ করেছে হুন্দাই কোম্পানি। ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শহর রক্ষা বাঁধের আড়াই কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ২২ বছরে বাঁধে ছয়বার ভাঙন দেখা দেয়। তাদের ডিজাইনে ত্রুটি আছে। তা না হলে বারবার কেন ভাঙবে। বাঁধ ভাঙনের আর কোনো কারণ দেখছি না।
শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেন, সারা বছর আমরা নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলি। বিশেষ করে এবার টানা বর্ষণের ফলে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে ভাঙন ঠেকানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা আসার আগেই ভাঙন রোধে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শহর রক্ষা বাঁধে এখন আর কোনো বিপদের আশঙ্কা দেখছি না।
সচিব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ১ নং গ্রোয়েন পর্যন্ত সার্ভে করা হবে। আগামীকাল থেকে আইডাব্লিউ, সিজিআইএস ও আমাদের হাইড্রোজিং ডিপার্টেমেন্টসহ তিন ক্যাটাগরিতে পুরোটা সার্ভে করা হবে।
এ সময় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ জুন দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধের হার্ট পয়েন্ট জেলখানা ঘাটে হঠাৎ ১৫০ মিটার বাঁধ ধসে যায়। সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮ সালে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। ৩শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ হুন্দাই লিমিটেড এই শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে।