লকডাউনে সরবরাহ কম, দাম বেড়েছে মাছ-মুরগির
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 12:00 AM
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সাতদিনের ‘কঠোর লকডাউন’। লকডাউন আর দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছের। এ ছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে মুরগির। তবে ক্রেতা কম থাকায় সবজির দাম সেই তুলনায় বাড়েনি। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম আসার কারণে সবজি আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মানিকনগর এলাকার রঙের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া জানান, মাছ ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম আগের মতই আছে। মাছের দাম অল্প সামান্য বেড়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (২ জুলাই) বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সবজির গাড়ি কম আসছে, তবে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা কম।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরবরাহ কম হওয়ার পরও দাম বাড়ছে না, কারণ ক্রেতা নেই। বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এদিকে নতুন মূল্য অনুযায়ী, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা এবং খোলা এক লিটার সয়াবিন তেল ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এ ছাড়া বোতলের পাঁচ লিটার তেল ৭১২ টাকা এবং খোলা পাম সুপার এক লিটার ১০৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর পাম সুপারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।
এ ছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এ ছাড়াও প্যাকেটকৃত চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।
চালের বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা।
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। আর খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।