ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট
Published : Saturday, 3 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.07.2021 12:16:55 AM
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে কুমিল্লার প্রশাসন। শুধু শহরই নয়,শহরতলীতেও রাস্তাঘাটেও মানুষ বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত কুমিল্লা শহরতলীর দৌলতপুর, ধর্মপুর, চম্পকনগর(সাতরা) ও শাসনগাছা এলাকায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিনের নেতৃত্বে লকডাউন কার্যকরে মাঠে নামে প্রশাসন। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুইটি হফেজিয়া মাদ্রাসা ও যাত্রীবাহী পরিবহন পাপিয়া-সুগন্ধা সহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ১৬ মামলায় ৫৪ হাজার ৬ শত টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অকারণে রাস্তায় বের হওয়া লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন জানান, শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতপুর, সাতরা, ধর্মপুর ও  শাসনগাছা এলাকায় লকডাউন কার্যকরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ১৬টি মামলায় ৫৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দৌলতপুরে দারুন নুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও শাসনগাছা উত্তরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফালাহ মাদ্রাসাকে ১০ হাজার টাকা  করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও সুগন্ধা ও পাপিয়া পরিবহনের ২টি বাস রাস্তায় যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাসগুলো ‘ফরিদ ফাইবার’ নামে একটি কোম্পানি ভাড়া নেয়ায় উক্ত কোম্পানিকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হোটেল মালিক, সেলুন কর্মচারী সহ বিভিন্ন লোকজন বিধি নিষেধ অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে।
ইউএনও নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অহেতুক কেউ রাস্তায় বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে আমরা কঠোর অবস্থানে রযেছি। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে বুধবার (৭ জুলাই) মধ্যরাত পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকছে। তবে গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে।