পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গতবছরের ১৭ মার্চে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রথম আঘাতের চেয়ে সংক্রমণ ও আক্রান্তের হার বেশি বাংলাদেশ কমিউনিটিতে।
বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মাতৃমনিজ এলাকায় প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত এবং বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্বাসপ্রশ্বাস, উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর সমস্যা নিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আইসিইউতে লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে এবং পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ায় অনেকেই বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না এবং বাংলাদেশ থেকেও পরিবারের লোকজন এখানে বসবাসরতদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রবাসী সাংবাদিক ফ্রিল্যান্স লেখক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বলেন, আমাদের কমিউনিটিতে সংক্রমিত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধিমালা নিয়ে অসচেতনতা, সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান না করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা, করোনার লক্ষণ থাকার পরেও তা গোপন রেখে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার ভয়ে টেস্ট না করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা। যার ফলে তাদের সংস্পর্শের ফলে আশপাশের ব্যক্তিরা খুব সহজেই আক্রান্ত হচ্ছেন, যা খুবই দুঃখজনক বিষয় আমাদের জন্য।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পর্তুগালে সর্বমোট ১ কোটি ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৭ জন করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ এর চেয়েও বেশি।
উল্লেখ্য, রাজধানী লিসবনসহ পুরো পর্তুগালের উচ্চ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিরাজ করায় ৯০টি সিটি করপোরেশনে আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত পর্তুগালে সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৭ জন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ১৯৪ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৭ হাজার ১০৮ জন।