থাইল্যান্ডে টানা তিনদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়েছে। এর আওতায় আরও তিনটি প্রদেশে রাত্রীকালীন কারফিউ এবং ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাজধানী ব্যাংককসহ নয়টি প্রদেশে আগে থেকেই বিধিনিষেধ চালু রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
রোববার রয়েল গেজেটের এক ঘোষণায় বলা হয়, চনবুড়ি, আয়ুথায়া এবং চাচোয়েংসাও প্রদেশে বসবাসরত নাগরিকরা মঙ্গলবার থেকে প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। এতে আরও বলা হয়েছে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। এসব প্রদেশের লোকজন যাতে অন্য কোথাও ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে।
রোববার দেশটিতে নতুন করে ১১ হাজার ৩৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে থাইল্যান্ডে মোট ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৮৬ জন আক্রান্ত এবং ৩ হাজার ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেল্টা ও আলফা ভ্যারিয়ন্টের কারণে এপ্রিল থেকে থাইল্যান্ডে করোনায় বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটি।
করোনার এমন পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে, অর্থনীতিও সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এছাড়া পর্যটন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনাও ভেস্তে যাচ্ছে।
করোনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার সমগ্র থাইল্যান্ডে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবে তাদেরকে দুই বছরের জেল অথবা ৪০ হাজার থাই বাথ জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার কথা বলা হয়েছে।
সরবরাহ ব্যবস্থা কম থাকায় ধীর গতিতে চলছে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ। থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনিয়েছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রফতানিতে সীমাদ্ধতা আরোপ করা হবে কারণ নিজস্ব চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই।