ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পানিতে ডুবে ৩ শিশুসহ চার জনের মৃত্যু
Published : Saturday, 7 August, 2021 at 12:00 AM
ময়মনসিংহে পানিতে ডুবে তিন শিশুসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও ও নান্দাইল উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো- গফরগাঁও উপজেলার পালইকান্দা গ্রামের হাফেজ মজিবুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২), শোল হাসিয়া গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে মোস্তাকিম (২) ও যশোরা গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আহাদ (১৫) ও নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে আফিফা (২)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে যশোরা গ্রামের কিশোর আব্দুল আহাদ সুতিয়া নদীতে মাছ ধরতে যায়। সাঁতার না জানায় স্রোতে ডুবে যায় সে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আব্দুল জলিল বিষয়টি চিৎকার দিয়ে স্থানীয়দের জানালে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে তারা এক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
একই ইউনিয়নের পাইলকান্দা গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস মরিয়মকে বালতির পানিতে রেখে ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মা। বালতির পানিতে খেলতে খেলতে মরিয়ম এক পর্যায়ে ডুবে যায়। স্বজনরা মরিয়মকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বেলা ১২ টার দিকে শোল হাসিয়া গ্রামের আমান উল্লাহর দুই বছরের ছেলে মোস্তাকিমকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাকিমকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল ৯টার দিকে নান্দাইল নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের দুই বছরের মেয়ে আফিফাকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। ওই দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
এ বিষয়ে যশরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল বলেন, পালইকান্দা গ্রামের হাফেজ মজিবুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বালতির পানিতে ডুবে ও আব্দুল আহাদ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন মানিক বলেন, সকাল থেকে তিন শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর এক শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সাহা বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর আব্দুল আহাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অপর তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।